সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা কলেজ চত্বর। অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে বিজেপির কর্মসূচি চলাকালীন কর্মীদের উপর চড়াও হয় তৃণমূল কংগ্রেস ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। বিজেপি সদস্যদের মারধরের পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় ক্যাম্প অফিসও। যদিও বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই নামখানা মহাবিদ্যালয়ের সামনেই চলছিল বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা সেখানেই ছিলেন। অভিযোগ, বেলা দেড়টা নাগাদ হঠাৎই কয়েকজন যুবক সেখানে বিজেপির ক্যাম্প অফিসে চড়াও হয়। আচমকা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর শুরু করে তারা। মারধর করা হয় যুব মোর্চা কর্মীদের। গুরুতর আহত হন বিজেপির নামখানা মণ্ডলের যুব মোর্চার সম্পাদক সূর্যকান্ত মণ্ডল-সহ পাঁচজন। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দলীয় কর্মীদের ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান জেলা যুব মোর্চার সভাপতি অতনু সাঁতরা। দাবি জানান, দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে অভিযুক্তদের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার (পশ্চিম) জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি সুফল ঘাঁটুর অভিযোগ, “দুপুরে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলাকালীন নামখানা কলেজের সামনে তৃণমূলের অভিষেক দাস ও প্রণব মাইতির নেতৃত্বে কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্যরা বিজেপি যুব মোর্চার ক্যাম্প অফিসে হামলা চালায়। যুব মোর্চা কর্মীদের মারধর করে।”
বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অমিত সাহা অভিযোগের সুরে বলেন, “বিজেপির বহিরাগত কিছু যুবক হঠাৎই কলেজের মধ্যে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে জোর করে টাকা তুলছিল। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাদের সঙ্গে ওই বহিরাগত যুবকদের প্রথমে হাতাহাতি হয়। কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরাও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় বহিরাগত ওই বিজেপি কর্মীদের হাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা নিগৃহীত হন।” পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস মিলেছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.