সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দলীয় কর্মীকে আক্রমণে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আইন ভেঙে থানা ঘেরাও করল বিজেপির নেতা-কর্মীরা। মাইক বাজিয়ে দীর্ঘক্ষণ চলে বিক্ষোভ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁরা। আর মাধ্যমিক চলাকালীন বিজেপি নেতৃত্ব লাগাতার মাইক বাজানোতেই ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
ঘটনার সুত্রপাত শনিবার। এদিন দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর এ জোনে এক পার্কের মালিক তথা বিজেপির সক্রিয় কর্মী দেবাশিস রায়কে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গুলিও চালানো হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। তাঁর রেস্তরাঁতেও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরেরদিন রবিবার তৃণমূল কাউন্সিলর রাজীব ঘোষ-সহ চারজনের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন আক্রান্ত দেবাশিসবাবু। অভিযোগ দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে দুর্গাপুর থানা ঘেরাও করে বিজেপির নেতা-কর্মীরা। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘড়ুই।
প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে চলে থানা ঘেরাও কর্মসূচি। মাইকে অবিরাম স্লোগান দিতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। এরপরই দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিশের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় বিজেপির প্রতিনিধিদল। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন তারস্বরে মাইক বাজিয়ে বিজেপির এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘড়ুই জানান, “দুর্গাপুর জুড়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস চলছে। আমাদের কর্মীদের পুলিশের সামনেই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মারা হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে থানা ঘেরাও। রবিবার পরীক্ষা নেই। সেই কারণে কিছুটা বাধ্য হয়েই মাইক বাজানো হচ্ছে। একই অপরাধ তৃণমূলও করছে। আমরা দুর্গাপুরের মানুষের কাছে এর জন্যে ক্ষমাও চেয়ে নিচ্ছি।” এরপরই তিনি পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তিনদিনের মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে জেলা জুড়ে আন্দোলনে নামবে বিজেপি।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাইক বাজানো প্রসঙ্গে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি–১ (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানান, “গনতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে প্রতিবাদের। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আদালত। তাই আমরা আইনগত ব্যাবস্থা নেব।”
ছবি: উদয়ন গুহরায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.