শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: বিজেপি (BJP) কর্মীর মৃত্যু নিয়ে ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রায়গঞ্জের বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে চূড়ান্ত অসহযোগিতার অভিযোগ। এমনকী ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিজেদের মতো করে পুলিশ সাজিয়েছে বলেও উঠছে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর নেতৃত্বে রায়গঞ্জ থানা ঘেরাও কর্মসূচিও রয়েছে।
অনুপ রায় ইটাহার থানার দুর্লভপুর গ্রামপঞ্চায়েতের নন্দনপুরের বাসিন্দা। এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসাবেই পরিচিত। পরিবারের দাবি, বুধবার বেলা ১১.৩০-১২টা নাগাদ বাড়িতেই ছিলেন তিনি। সেই সময় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে রায়গঞ্জ থানার বাড়িতে যায়। অভিযোগ, অনুপকে জোর করে তুলে নিয়ে যান তাঁরা। এরপর সোজা তাঁকে রায়গঞ্জ থানার কম্পিউটার রুমেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রথমে বেধড়ক মারধর এবং তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে পাঁচটি গুলি করা হয় বলেও অভিযোগ।
ইতিমধ্যেই সন্ধে হয়ে যায়। ছেলের কোনও খোঁজ না পেয়ে ইটাহার থানায় যান অনুপের মা। অভিযোগ, সেখানে বিজেপি কর্মী শোনার পরই তাঁর নিখোঁজ ডায়েরিও নিতে চায়নি পুলিশ। বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন অনুপের পরিজনেরা। এদিকে, বুধবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে রাত দশটা নাগাদ রায়গঞ্জের বিজেপি কার্যালয়ে যান যুবকের মা। সেখানে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
পরিবারের দাবি, নিয়ম না থাকা সত্ত্বেও রাতেই রায়গঞ্জ থানার পুলিশ অনুপের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট গুলির কথা উল্লেখ নেই বলেই দাবি নিহতের পরিজনদের। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কিডনি সংক্রান্ত সমস্যাতেই মৃত্যু হয়েছে বছর বাইশের অনুপের। তবে তাঁর পরিজনেরা সেকথা মানতে নারাজ। সামান্য জ্বর ছাড়া অনুপের শারীরিক কোনও অসুস্থতা ছিল না বলেই দাবি তাঁর মায়ের। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের মদতে পুলিশ ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিজেদের মতো করে সাজিয়েছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। যদিও তৃণমূলের তরফে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.