সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বুথ কমিটির মিটিং সেরে ফেরার পথে হামলা। দুর্গাপুরের কাঁকসায় এক বিজেপি কর্মীকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম বিরোধী দলের আরও এক কর্মী। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি তিনি।শাসকদলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন বিজেপির পশ্চিম বর্ধমানের কার্যকরী সভাপতি লক্ষ্মণ ঘড়ুই। বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলেই খুন বলে পালটা দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়।
[ অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নেমে গেলেন ক্ষুব্ধ সাংসদ কল্যাণ]
শিয়রে লোকসভা ভোট। এ রাজ্যে দলের সংগঠনকে মজবুত করতে চেষ্টার কসুর করছেন না বিজেপি নেতারা। রাজ্য স্তরে যেমন রথযাত্রার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল, তেমনি জেলা ও ব্লক স্তরে নিয়মিত মিটিং করছেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। রবিবার রাতে দুর্গাপুরের কাঁকসায় দলের বুথ স্তরের মিটিং ছিল। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, মিটিং শেষে ফেরার পথে সরস্বতীগঞ্জে লাঠি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালায় শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বাইক থেকে নামিয়ে সন্দীপ ঘোষ নামে এক বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁর সঙ্গী জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দু’জনকেই নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সন্দীপকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে জয়দীপের।
ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান বিজেপির পশ্চিম বর্ধমানের কার্যকরী সভাপতি লক্ষ্মণ ঘড়ুই। তাঁর অভিযোগ, জেলায় বিজেপির জনপ্রিয়তার ভয় পেয়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। তাই পরিকল্পনামাফিক দলের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা, গুলি করে খুন করা হয়েছে সন্দীপকে। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন বিজেপির কার্যকরী জেলা সভাপতি। বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমানের কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়। তাঁর পালটা দাবি, দুর্গাপুরে বিজেপি অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল চরমে পৌঁছেছে। তারই ফলশ্রুতিতে খুন হতে হয়েছে ওই বিজেপি কর্মীকে। এই ঘটনার সঙ্গে শাসকদলের কোনও সম্পর্ক নেই।
ছবি: উদয়ন গুহরায়
[ ডেঙ্গুর ভয়ে পঞ্চায়েত অফিস থেকে মশা মারার যন্ত্র নিয়ে পালাল চোর!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.