ছবি: প্রতীকী
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: ভোটের আগে রাজনৈতিক হত্যার ঘটনায় ফের উত্তপ্ত বীরভূম (Birbhum)। ইলামবাজারে শাল নদীর ধার থেকে উদ্ধার হল বিজেপি (BJP) কর্মীর মৃতদেহ। মৃতের নাম বাপি আঁকুড়ে। এ নিয়ে জেলার তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। তাঁর গলায় রুমাল জড়ানো ছিল। মৃতের বাবা নির্মল আঁকুড়ে জানান, ”সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় বাপি। তারপর থেকে সে আর বাড়ি ফেরেনি। রাতে না এলে আমরা খোঁজাখুঁজি করি।পরে আজ সকালে নদীর ধার থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাপি বিজেপি করত।”
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বাপি তাদের সক্রিয় কর্মী। তাঁকে খুন করেছে তৃণমূল সর্মথকরা। বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি বলাই চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, এলাকার মধ্যে বাপি খুব জনপ্রিয় ছিল। সকলের উপকারের জন্য সব সময় সে ঝাঁপিয়ে পড়ত। তাঁকে খুন করে আসলে বিজেপিকে রুখতে চাইছে তৃণমূল (TMC)। অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ইলামবাজারের তৃণমূল ব্লক সভাপতি শেখ তরু বলেন, ”এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূল কোনও ভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়।” ইলামবাজার থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এই মৃত্যু নিয়ে ভোটের আগে আরও একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল লালমাটি।
এমনিতেই বিজেপি নেতৃত্ব বারবার অভিযোগ করে যে বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার বলি বেশিরভাগই তাদের দলীয় কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন নেতারা। ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই এই সব বিষয়কে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে আরও বেশি ব্যবহার করছেন তাঁরা। ইলামবাজারের ঘটনা নিঃসন্দেহে তাতে ধার বাড়াল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.