পলাশ পাত্র, তেহট্ট: বিজেপি কর্মীকে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয়েছে ওই ব্যক্তির বাড়িতেও। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কৃষ্ণনগর রেড গেট এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কোতয়ালি থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, আহত প্রসেনজিৎদাসের পকেট থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছে।
[আরও পড়ুন: কর্মবিরতিই কাড়ল ছেলেকে, নিথর শিশুর দেহ আঁকড়ে হাহাকার যুবকের]
ভোটপর্ব মিটলেও রাজ্যজুড়ে অব্যাহত অশান্তি। কোথাও আক্রমণের মুখে শাসকদলের কর্মীরা। কোথাও আবার আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপির কর্মীরা। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার নদিয়ার কোতয়ালিতে। জানা গিয়েছে, এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবেই পরিচিত প্রসেনজিৎ দাস। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন তিনি। সেই সময় স্থানীয়দের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন প্রসেনজিৎ। বচসা চরমে উঠতে প্রসেনজিতের উপর চড়াও হন স্থানীয়রা। অভিযোগ, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে রেখে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। স্থানীয়দের নজরে পড়তে তাঁকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন। পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত যুবকের পকেট থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র।
যদিও আক্রান্ত যুবকের কথায়, “আমি বিজেপি করি। তার জন্য তৃণমূল নেতা গৌরীশংকর দত্তর লোক ভোলা জোয়ারদার আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে আমার বাড়িতেও।” ওই যুবকের অভিযোগ, মারধরের পর জোর করে তার পকেটে আগ্নেয়াস্ত্র রেখে দিয়েছিল অভিযুক্তরা। যদিও আক্রান্তের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গৌরীশংকর দত্ত। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি গৌরীশংকর দত্ত বলেন, ‘কে প্রসেনজিৎ আমি জানি না, চিনিও না। আমার এ বিষয়ে কিছু বলার নেই। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.