রাজা দাস, বালুরঘাট: এলাকায় বিজেপি-র সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কয়েক মাস আগে পুর নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন। কিন্তু, ইদানিং দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে মতপার্থক্য চরমে পৌঁছেছিল। শেষপর্যন্ত বাড়ি থেকে বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি স্থানীয় নেতাদের লাগাতার হেনস্তার কারণে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারিতে।
[তৃণমূল নেতা খুনের জের, বনধের চেহারা বাগনানে]
দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারির শেরপুরের বাসিন্দা বছর চল্লিশের মৌসুমি মজুমদার। বিজেপি সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। মাস কয়েক আগে বুনিয়াদপুর পুরসভার নির্বাচনে প্রার্থীও হন বছর চল্লিশের ওই গৃহবধূ। কিন্তু, ভোটে জিততে পারেননি। এরপরই দলের সঙ্গে মৌসুমিদেবীর সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। খোদ বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতির সঙ্গে বিরোধ বাধে। সেই বিরোধ এমন জায়গায় পৌঁছেছিল, মাস দুয়েক আগে প্রকাশ্য জনসভা জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারকে মৌসুমিদেবী চড়ও মেরে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জেলায় দলের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে মানসিক হেনস্তার অভিযোগে এফআইআর করেছিলেন তিনি। মৌসুমি মজুমদার দল থেকে বহিষ্কার করে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।
[রাত পোহালেই মাধ্যমিকের ফল, রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ কিশোরী]
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে কাজে বেরিয়েছিলেন মৌসুমিদেবীর স্বামী প্রদীপ মজুমদার। দিনভর বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। প্রাক্তন ওই বিজেপি নেত্রীর স্বামী জানিয়েছেন, রাতে বাড়ি ফিরে দেখেন, শোয়ার ঘরে স্ত্রী নেই। মৌসুমিদেবীর খোঁজ করতে পাশের ঘরে গিয়ে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে বংশীহারি থানার পুলিশ। মৃতার স্বামীর অভিযোগ, ইদানিং নানা অজুহাতে মৌসুমি মজুমদারকে হেনস্তা করতেন বিজেপি স্থানীয় কর্মীরা। মাস খানেক আগে চিকিৎসার জন্য দলের এক কর্মীর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন তিনি। বেশিরভাগ টাকা শোধও করে দিয়েছিলেন। কিন্ত, মৌসুমিদেবীকে প্রকাশ্যে অপমানিত হতে হয়। সেই মানসিক আঘাত সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। যদিও বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারের দাবি, দলবিরোধী কাজের জন্য মৌসুমি মজুদারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। দলের কারও কাজ থেকে তিনি টাকা ধার নিয়েছিলেন কিনা, তা তিনি জানেন না।
ছবি: রতন দে
[প্রতিবন্ধী বলে বাবার কাছে ব্রাত্য, হাই মাদ্রাসায় ৮৮% নম্বর পেয়ে জবাব তাশিনার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.