রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: আগামী ১২ মে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। রাজনৈতিক দলের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে জনসংযোগের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ পিছিয়ে নেই গেরুয়া শিবিরের সদস্যরাও৷ আর তাদের প্রচার ঘিরেই উসকে উঠল বিতর্ক৷ কিন্তু প্রচারে সরকারি লিফলেট বিলি করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তাদের বিলি করা লিফলেটে রয়েছে অশোকস্তম্ভ-সহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি৷ বিষয়টি নজরে আসার পরেই চলছে অভিযোগ-পালটা অভিযোগের পালা৷
বিরোধীদের দাবি, নির্বাচনী বিধি লাগু হওয়ার পরে সরকারি লিফলেট কোনভাবেই বিলি করা যায় না। এমনকি সরকারি জায়গা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারের কাজে ব্যবহার করা যায় না৷ তা সত্ত্বেও কীভাবে গেরুয়া শিবির এই কাজ করতে পারে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধীরা৷ তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মানস কুমার রায় যদিও বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ওই লিফলেটে ভারত সরকার কী কী কাজ করেছে, কী কী প্রকল্পের বাস্তব রূপ দিয়েছে সেটাই সাধারণ মানুষকে জানানো হয়েছে। তাতে সমস্যা কোথায়? যদি নির্বাচনী বিধি ভাঙা হয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশন রয়েছে৷ আসলে বিরোধীরা এভাবে চক্রান্ত করে বিজেপির পথ আটকানোর চেষ্টা করছে। এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না।’’
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা কাঁথির হেভিওয়েট প্রার্থী শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘মানুষের জন্য কিছুই করেনি বিজেপি। তাই ওদের ভোট চাইতে যাওয়ার মুখ নেই। সে কারণেই সরকারি লিফলেট বাড়ি বাড়ি বিলি করছে।’’ সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ সম্পাদক ঝড়েশ্বর বেরার কথায়, ‘‘নরেন্দ্র মোদি সরকার ও বিজেপিকে এক করে ফেলেছেন কর্মীরা। নির্বাচন কমিশনকে নিজেই পরিচালনা করছেন। তা না হলে নির্বাচনী বিধি ভেঙে কীভাবে সরকারি লিফলেট বিলি করার সাহস দেখাতে পারেন বিজেপি কর্মীরা? আমাদের নজরে বিষয়টি এসেছে। আমরা তীব্র নিন্দা করি৷’’ নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ পৌঁছেছে জেলাশাসক পার্থ ঘোষের কানে৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.