শ্রীকান্ত দত্ত, ঘাটাল: দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে পাঁচ তৃণমূলকর্মীকে মারধর ও কোপানোর অভিযোগে তপ্ত চন্দ্রকোনা। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। জখম পাঁচ তৃণমূলকর্মীর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা প্রত্যেকেই স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন৷
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার৷ এদিন সকালে পাঁচজন তৃণমূল কর্মী চন্দ্রকোনার দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন৷ এলাকার কাজকর্ম নিয়ে একটি বৈঠকও চলছিল৷ সেই সময় আচমকাই বেশ কয়েকজন দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে যায়৷ ওই দুষ্কৃতীরা হুমকিও দেয় তৃণমূল কর্মীদের৷ এরপর শুরু হয় ব্যাপক মারধর৷ বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই পাঁচজনকে কোপানোও হয়৷ তৃণমূল কর্মীদের চিৎকারে আশেপাশের বাসিন্দারা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে যান৷ ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয় হামলাকারীরা৷ ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যেক তৃণমূল কর্মীকেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়৷ আহতদের প্রথমে ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়৷ বাকি চারজনের মধ্যে একজনের ক্ষীরপাই হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে৷ বাকি দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ দুজনেরই ওই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে৷
তৃণমূলের জেলা সম্পাদক গৌতম ভট্টাচার্যের অভিযোগ,‘‘বিজেপি পরিকল্পনা করেই আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের পাঁচজন কর্মী জখম হয়েছেন। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এভাবে ওরা অশান্তি তৈরি করছে।’’ যদিও বিজেপি এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে৷ তাঁদের পালটা দাবি, বিজেপির নামে কুৎসা রটানোর লক্ষ্যেই তৃণমূল এই অভিযোগ করছে৷ তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বিজেপি কর্মীরা যায়নি বলেও দাবি দলীয় নেতৃত্বের৷ পরিবর্তে বৈঠক চলাকালীন তৃণমূল কর্মীরাই তাঁদের ওপর হামলা করেছে বলেই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের৷
চন্দ্রকোনা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে৷ ধৃতেরা হল সুভাষ চৌধুরি ও সুদীপ চৌধুরি৷ পুলিশসূত্রে খবর, দুই ধৃতই বিজেপি কর্মী৷ সুদীপ দলীয় কর্মী হলেও, সুভাষ স্থানীয় বুথ সভাপতির পদে রয়েছে৷ যদিও দুজনকেই দলীয় কর্মী হিসাবে মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.