সুব্রত যশ, আরামবাগ: রাত থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল এলাকায়। শহিদ সমাবেশের সকালে বিজেপি কর্মীদের তাণ্ডবে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হুগলির আরামবাগ। শহরের বসন্তপুর এলাকায় তৃণমূলকর্মীদের বাস আটকানোরও চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূলকর্মীদের বাসটিকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের আবার দাবি, তাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন তৃণমূলকর্মীরা।
ঘটনার সূত্রপাত্র শনিবার রাতে। কলকাতার আসার জন্য একটি বাসটি ভাড়া করেছেন আরামবাগ শহরের তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, রাতে যখন সেই বাসটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে ফিরছিলেন শাসকদলের কর্মীরা, তখন আরামবাগ শহরের বসন্তপুরে তাঁদের উপর বিজেপি কর্মীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ। ঘটনায় দু’জন তৃণমূলকর্মী আহত হন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। রাতেই একজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। তখনকার মতো সমস্যা মিটে যায়। কিন্তু, রবিবার সকালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আরামবাগে।
অভিযোগ, এদিন সকালে যখন আরামবাগের বসন্তপুর থেকে বাস চেপে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা, তখন বিজেপি কর্মীরা এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে দেন অভিযোগ। ফের তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে আরামবাগের বসন্তপুরে যান এসডিপিও নির্মল কুমার দাস। কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তৃণমূলকর্মীদের বাসটিকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে আরামবাগে তৃণমূলকর্মীদের বাস আটকানো ও এলাকায় তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। গেরুয়া শিবিরের পালটা অভিযোগ, তাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর করেছে তৃণমূল কর্মীরাই।
তৃণমূল কর্মীদের বাসে ভাঙচুরের ঘটনায় রবিবার সকালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হুগলির সিঙ্গুরেও। সকালে বাঁকুড়া থেকে বাস করে কলকাতায় আসছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, সিঙ্গুরের রতনপুরের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে-র কাছে তিনটি বাসে ইট মেরে কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। বিজেপির বিরুদ্ধে বাসে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে-তে পথ অবরোধ শুরু করে দেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সিঙ্গুর থানায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.