Advertisement
Advertisement
BJP state president Sukanta Majumdar says, 'Khela hobe'

Sukanta Majumdar: ‘ভয়ংকর খেলা হবে’, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অনুব্রতর ভঙ্গিমায় হুঁশিয়ারি সুকান্তর

শুক্রবারও সুকান্তর গলায় শোনা গেল 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পের কথা।

BJP state president Sukanta Majumdar says, 'Khela hobe' । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 2, 2022 6:34 pm
  • Updated:December 2, 2022 6:37 pm  

অর্ণব দাস, বারাকপুর: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র পর এবার ‘খেলা হবে’। অনুব্রত মণ্ডলের ভঙ্গিমায় হুঁশিয়ারি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি হবে বলেই আশা তাঁর। সুকান্তকে পালটা দিল তৃণমূল। পরাজয় হবে জেনে সুকান্ত মানসিক চাপে একথা বলছেন বলেই খোঁচা সাংসদ শান্তনু সেনের।

শুক্রবার বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় মিছিল করে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ক্রমশ ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। মারধর, লুটপাটের মতো নানা ঘটনা ঘটলেও পুলিশ সেভাবে সক্রিয় নয় বলে অভিযোগ বিজেপির। তারই প্রতিবাদে বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার ডাকে বারাকপুর স্টেশন প্রাঙ্গন থেকে চিড়িয়ামোড় পর্যন্ত মিছিল করে। সেখানেই সভামঞ্চ থেকে সুকান্ত বলেন, “খেলা একপক্ষের হয় না। খেলা হবে দু’পক্ষের। খেলা যখন হবে, তখন ভয়ংকর খেলা হবে। বারবার দিল্লিতে ডাকা হচ্ছে। দিল্লিতে আসুন না। ওখানে আসলে রিমোট কন্ট্রোল আপনাদের হাতে থাকবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে যুবসমাজ, কলকাতায় সমস্ত হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ পুরসভার]

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রত মণ্ডলের ভঙ্গিমায় সুকান্ত মজুমদারের এহেন হুঁশিয়ারিকে মোটেও ভাল চোখে দেখছে না রাজ্যের শাসকদল। বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে পালটা জবাব দেন তৃণমূল সাংসদ। শান্তনু সেনের খোঁচা, “সুকান্ত জানেন আগামী নির্বাচনে বিজেপি বাংলা থেকে হারিয়ে যাবে। তিনি নিজেও প্রাক্তন সাংসদ হয়ে যাবেন। মানসিক চাপ সামলাতে না পেরে এসব বলছেন।” সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য সুকান্তকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন। তৃণমূল নেতাদের দেখেই সুকান্ত এসব বলছেন বলেই দাবি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর।

‘খেলা হবে’র আগে সুকান্তর গলায় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের কথাও শোনা গিয়েছিল। মহিলাদের জন্য রাজ্য সরকার একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে অন্যতম ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। এই প্রকল্পে রাজ্যের সাধারণ শ্রেণির মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মহিলারা মাসিক ১ হাজার টাকা পান। সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢোকে ওই টাকা। তার ফলে রাজ্যের বহু মহিলা উপকৃত হন। এতকাল ধরে বহু বিজেপি নেতানেত্রীকে এই প্রকল্পের সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে। তবে সম্প্রতি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলায় শোনা গিয়েছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের কথা। ক্ষমতায় আসলে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে মাসে পাঁচশোর বদলে দু’হাজার টাকা এবং ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেওয়া হবে বলেই আশ্বাস দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিনের প্রতিবাদ সভায় আরও একবার সেকথা জানান তিনি।

[আরও পড়ুন: ‘মাছ নিয়ে বলতে এলে করে দেব পালিশ’, পরেশ রাওয়ালের ‘মাছ’ মন্তব্যের জবাব কুণাল ঘোষের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement