শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: সক্রিয় মৌসুমী বায়ু এবং নিম্নচাপের জোড়া ফলায় এখনও বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। জলের তলায় ঘাটালের গ্রামের পর গ্রাম। দিল্লি থেকে ফিরেই প্লাবন বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে সাংসদ তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তার আগে খড়গপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তারকা সাংসদ দেবের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি।
দিল্লি (Delhi) সফর শেষে শনিবার খড়গপুরে পৌঁছন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) প্লাবিত একাধিক এলাকা ঘুরে দেখার কথা তাঁর। প্রথমেই দাসপুরে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। ঘুরে দেখেন গোটা এলাকা। দুর্গতদের সঙ্গেও কথা বলেন। তারপর ঘাটালেও যান তিনি। সকালে হিজলিতে পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। ত্রাণ ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও (Mamata Banerjee) আকাশপথে ঘাটাল পরিদর্শনের কথা ছিল। তবে বাদ সাধে আবহাওয়া। তাই বাধ্য হয়ে আর ঘাটালে যাওয়া হয়নি তাঁর। সড়কপথে আমতায় (Amta) গিয়ে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁর। ডিভিসি (DVC) বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ার ফলে হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের গ্রামগুলির করুণ দশা বলেই অভিযোগ করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। পরে যদিও পিএমও (PMO) থেকে টুইটের মাধ্যমে সেকথা স্বীকার করে নেওয়া হয়। এই ইস্যুতেই এদিন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভ্যেস হয়ে গিয়েছে নিজে না পারলে অন্য কারও ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়া। ১০ বছর ধরে উনি এখানে মুখ্যমন্ত্রী আছেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণে উনি কী করেছেন?”
এদিকে, দিলীপ ঘোষের আগেই ঘাটালের প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন সাংসদ দেব (Dev)। তিনি দাবি করেন কেন্দ্রের উদাসীনতায় এখনও বাস্তবায়িত হয়নি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান (Ghatal Master Plan)। আর তার ফলে তাঁর সংসদ এলাকার জল থইথই দশা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী না হলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হবে না বলেও দাবি করেন দেব। তারই পালটা জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “দেব সাত বছর সাংসদ। ওঁর দিদি মুখ্যমন্ত্রী। ভেবেছিলেন এই ভাবেই চলে যাবে। মানুষ কি জন্য ভোট দিয়েছিলেন? বন্যা হলে ভাসবেন বলে?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.