সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ক্রমাগত বাংলার সরকারকে আক্রমণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ায় বিজেপির চা চক্রে পালটা মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কার্যত রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তিনি।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির হুঁশিয়ারি, “মুখ্যমন্ত্রী কী কেবল একাই রাজনীতি করবেন? আমরাও সব কিছু নিয়ে রাজনীতি করব। দম থাকলে আটকান।” আমফানের ত্রাণের টাকা নিয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ‘দুর্নীতি’ করছে বলে বারবার সুর চড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। তার ফলে ক্রমশই ক্ষোভ বেড়েছে আমজনতার মনে। যদিও ক্ষোভের আগুন স্তিমিত করতে আসরে নেমেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেউ ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি করলে, তাকে রেয়াত করা হবে না বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। সেই অনুযায়ী ইতিমধ্যেই দলের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি নিয়েও সমালোচনা করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। আদতে এটি লোক দেখানো বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। শুক্রবার সকালে চা চক্রে ফের আমফানের ত্রাণের প্রসঙ্গ তুলে শাসকদলকে খোঁচা দেন মেদিনীপুরের সাংসদ। তাঁর দাবি, “আমফান-সহ কেন্দ্র সরকারের সব প্রকল্পের টাকা লুট করছে এই সরকার।”
সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর প্রসঙ্গও তোলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, “রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। প্রতিদিন আমাদের নেতা-কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। আর আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। দলের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রীর কোনও যোগ্যতা নেই।”
রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাতে আপাতত সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি চা চক্রে উঠে এল সেই প্রসঙ্গও। দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যপালকে তিনি গ্রেপ্তার করতে পারবেন না? দড়ি বেঁধে থানায় আনতেও পারবেন না। পারলে সেটাও করতেন তিনি। তাই তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে অসম্মান করা হচ্ছে। কুৎসা রটানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। রাজ্যপাল নিজের এক্তিয়ারে থেকে সাংবিধানিক কাজ করে যাচ্ছেন।” যদিও দিলীপের মন্তব্যের পালটা কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও তৃণমূলের তরফে পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.