সৌরভ মাজি, বর্ধমান: রেলের গাফিলতি নাকি সচেতনতা সত্ত্বেও নিছক দুর্ঘটনা, বর্ধমান স্টেশনের বিপর্যয়ে একাধিক প্রশ্নের ভিড়। রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর তরজা। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের দাবি, রেলের গাফিলতিতে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল। যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, নির্মাণ সংস্থা সংস্কারে ঠিকমতো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এত বড় বিপর্যয়।
শনিবারের সেই অভিশপ্ত রাত। ৮টা ৫মিনিট নাগার হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বর্ধমানের স্টেশনের প্রবেশপথের একাংশ।
ওই অংশের আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা দু’জন গুরুতর জখম হন। কয়েক মিনিট অন্তর অন্তর ভেঙে যাওয়ার ফলে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় স্টেশন চত্বর। আহতদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই একজনের মৃত্যু হয়। যাঁর নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আরেকজন গুরুতর জখম হন। হোপনা টুডু নামে ওই ব্যক্তি পায়ে গুরুতর চোট নিয়ে একই হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন। তাঁরা চোখেমুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।
এদিকে, এই দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে যান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর আহতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মন্ত্রীর অভিযোগ, বারবার যাতায়াতকারীরা স্টেশনের প্রবেশপথ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। তা সত্ত্বেও টনক নড়েনি রেলের। আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে এত বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হত বলে দাবি তাঁর। অধীর চৌধুরির দাবিও প্রায় একইরকম। তিনি বলেন, “রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তহবিল থাকা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি রেল।” তবে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সাফাই, রেল যে নির্মাণ সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিল তারা সঠিকভাবে কাজ না করায় এমন কাণ্ড ঘটল।
বর্ধমান স্টেশন বিপর্যয়ের কারণ নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। জারি রাজনৈতিক আকচাআকচি। তবে তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কারণ নিয়ে কিছুই বলা যাবে না বলেই দাবি রেলের। ইতিমধ্যেই তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে শুরু হয়েছে তদন্ত। তারপরই স্পষ্ট জানা যাবে আদতে কীভাবে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল।
ছবি: মুকুলেসুর রহমান
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.