সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পিস্তল নিয়ে এবার বিজেপির মিছিল৷ ভাইরাল ভিডিও ঘিরে পুরুলিয়ায় দেখা দিয়েছে তুমুল বিতর্ক৷ বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে সন্ত্রাস ও পুলিশের অত্যাচারের প্রতিবাদে মহকুমা শাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিজেপি৷ অভিযোগ, বিজেপির ওই প্রতিবাদ মিছিলে মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তিকে ‘পিস্তল’ উঁচিয়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছে৷ প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে মিছিলে হাঁটার ১০ সেকেন্ডের ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় গোটা পুরুলিয়াজুড়ে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক৷ এই গোটা ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে পুরুলিয়া জেলা বিজেপি৷
কারণ গত রামনবমীতে পুরুলিয়া শহরে বজরং দলের শোভাযাত্রায় একজনকে এইভাবেই ‘পিস্তল’ উঁচিয়ে মিছিলে অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল। আর সেই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় তা রঘুনাথপুর থানা-সহ পুরুলিয়া জেলা পুলিশের কাছেও চলে এসেছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া বলেন, “আমরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ওই দিন রঘুনাথপুরের ওই মিছিলে বিজেপির পঞ্চায়েতের প্রদেশ প্রমুখ মুকুল রায়, দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী-সহ দলের একাধিক নেতা ও কর্মী৷ আর ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে তৃণমূল।
পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো এদিন রাতে বলেন, “এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। তারা হাতে অস্ত্র আর ধর্ম ছাড়া রাজনীতি করতেই পারে না। এই ঘটনা তা আরও একবার প্রমাণ করল। পুলিশকে বলা হয়েছে এই ঘটনার ব্যবস্থা নিতে। অস্ত্র নিয়ে মিছিলের সংস্কৃতি বাংলায় চলবে না। এবার সাধারণ মানুষ জবাব দেবে।” ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মিছিলের একপাশে ওই স্যান্ডো গেঞ্জি পরা মধ্যবয়স্ক লোকটি ডান হাতে পিস্তল উঁচিয়ে মিছিলে হাঁটছেন। তার একপাশে বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী ও পঞ্চায়েত প্রদেশ প্রমুখ মুকুল রায় রয়েছেন৷ ওই ‘পিস্তলে’র পাশে উড়ছে বিজেপির পতাকাও। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, “বিষয়টি ঠিক কি হয়েছে আমরা দেখছি।” এদিকে শুক্রবার বিজেপির দুই কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মৃত ত্রিলোচন মাহাতো ও দুলাল কুমারের বাড়ি গিয়ে দলের একটি প্রতিনিধি দল তাঁদের পাঁচ লক্ষ টাকা করে দিয়ে সহায়তা করেন। এদিন ওই প্রতিনিধি দলে জেলা সভাপতি ছাড়াও রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্য সহ-সভাপতি সুভাষ সরকার ছিলেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.