বিক্রম রায়, কোচবিহার: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস অব্যাহত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এবার ঘটনাস্থল কোচবিহারের তুফানগঞ্জ। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই এলাকার বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রাত পোহালেই ভোটগণনা। আগামিকাল নির্ধারিত হবে কার দখলে থাকবে দিল্লির মসনদ। তার আগে ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল তুফানগঞ্জ। ভোটপর্ব শুরু হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য। আক্রান্ত হয়েছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। হামলা চালানো হয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের দলীয় কার্যালয়ে। ভোটপর্ব শেষেও ছবিটা একই। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ এলাকায় বিজেপির কার্যালয়ে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। ভাঙচুর করা হয় কার্যালয়ে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনার প্রতিবাদে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। খবর পেয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও থমথমে এলাকা। মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে কোচবিহারের বিজেপি জেলা সভাপতি মালতি রাভা জানিয়েছেন, “তুফানগঞ্জ আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। আর তৃণমূল বুঝতে পেরেছে আলিপুরদুয়ারে তাঁদের পরাজয় নিশ্চিত। সেই কারণেই সন্ত্রাস ছড়াতে এসব করছে শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তবে এভাবে মানুষকে ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ হবে না।” এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের সহ-সভাপতি চাঁদমোহন সাহা সাফ জানিয়েদেন, তৃণমূল এহেন কোনও ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই অশান্তি। ফল প্রকাশের প্রাক্কালে এহেন ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা।
ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.