Advertisement
Advertisement
বিজেপি

তারুণ্যে জোর গেরুয়া শিবিরের, কাছের পরিবর্তে কাজের লোক খুঁজছে রাজ্য বিজেপি

তৃণমূল স্তরে সংগঠন মজবুত করতে বৈঠক শীর্ষ নেতাদের।

BJP of West Bengal is searching for new face for ground lavel politics
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:October 16, 2019 10:02 am
  • Updated:October 16, 2019 10:03 am  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নিচুস্তরে সংগঠনের গুরু দায়িত্বে তারুণ্যেই জোর দিতে চাইছে বিজেপি। ২০২১-এর যুদ্ধে শাসকদলের সঙ্গে টক্কর দিতে দলের বুথ থেকে মণ্ডল কমিটির সভাপতি পদে তরুণদের সামনে রেখেই লড়াইয়ে নামতে চায় গেরুয়া শিবির। আর সেই মতোই কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গড় বয়স হতে হবে ৪০। শুধু তাই নয়, বুথ থেকে মণ্ডল সভাপতিদের মোটর বাইক থাকা বাধ্যতামূলক।

লোকসভা নির্বাচনে সাফল্যের পর ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। একেবারে বুথস্তর থেকে শুরু হয়েছে সাংগঠনিক নির্বাচনপর্ব। নভেম্বরের ৯ তারিখের মধ্যে মণ্ডল কমিটির নির্বাচন শেষ হবে। তারপর জেলা সভাপতি নির্বাচন। এই সাংগঠনিক নির্বাচন এবং সংগঠনের কোথায় কী দুর্বলতা রয়েছে তা খুঁজে বের করতেই মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার মহারাষ্ট্র নিবাসে সারাদিন ধরে অনুষ্ঠিত হল রাজ্য বিজেপির বৈঠক। যেখানে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক সংগঠন শিবপ্রকাশ, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, দলের রাজ্য সংগঠন সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা, সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার-সহ রাজ্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। একেবারে নিচুস্তরে বুথ কমিটির পর দলের মণ্ডল কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। মোট ১১৬৪টি মণ্ডল রয়েছে। সেই মণ্ডলের সভাপতিদের বয়স ৪০ এর মধ্যে কিংবা খুব বেশি হলে ৪২ বছর রাখা যেতে পারে। যাঁরা সময় দিতে পারবে এরকমরাই সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন। প্রত্যেকের মোটর বাইক থাকা বাধ্যতামূলক। এমনই নির্দেশিকা দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ। দলীয় সূত্রে খবর, মণ্ডল সভাপতি পদে নিজেদের কাছের লোক বসানো চলবে না। কাজের লোক বসাতে হবে। যোগ্যদের দায়িত্ব দিতে হবে। জেলা সভাপতিদের উদ্দেশে এমনই বার্তা শিবপ্রকাশের।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই জ্বর সারানোর উপায় বাতলেছিলেন নোবেলজয়ী ]

কলকাতা ও তার সংলগ্ন কিছু এলাকা, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪পরগনা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়ার কিছু অংশে সংগঠনে দুর্বলতার বিষয়টি এদিন স্বীকার করে নেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্যে প্রায় ৭৯ হাজার বুথের মধ্যে ৬৪ হাজারের মতো বুথে দলের সাংগঠনিক নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে। বাকি বুথে কমিটি করা যায়নি বলে এদিন জানান তিনি। দিলীপবাবুর কথায়, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণগুলি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। অনেকক্ষেত্রে রাজনৈতিক হিংসা ও সংগঠন বিস্তারে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। সূত্রের খবর, রাজ্যে সংখ্যালঘু এলাকার বড় অংশে বিজেপি সেভাবে সংগঠন বাড়াতে পারছে না।

এদিন দক্ষিণ কলকাতার হাজরা রোডে যখন রাজ্য বিজেপি দলের সব জেলা সভাপতিদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করছে তখন তৃণমূল ভবনে দলের সমস্ত ব্লক সভাপতিদের নিয়ে মিটিং ছিল তৃণমূল কংগ্রেসেরও। আসন্ন পুরভোট নিয়েই এদিন বৈঠক ছিল তৃণমূলের। যদিও বিজেপির বৈঠক মূলত ছিল দলের সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে। পুরভোট কিংবা এনআরসির বিষয় নিয়ে বিজেপির বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে একইদিনে অনুষ্ঠিত হওয়া এই দুই বৈঠক রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

[ আরও পড়ুন: ‘বারাণসীর ঘাটগুলি কিন্তু অপরিষ্কার’, নাম না করে বিজেপিকে বিঁধলেন শুভেন্দু ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement