Advertisement
Advertisement

Breaking News

Telinipara

তেলিনিপাড়ার সংঘর্ষে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ, এফআইআর লকেট ও অর্জুনের বিরুদ্ধে

এই গন্ডগোলের জেরে কয়েকদিন ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকায়।

Locket Chatterjee, Arjun Singh booked for allegedly inciting violence
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:May 16, 2020 8:12 pm
  • Updated:May 16, 2020 8:12 pm  

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: তেলিনিপাড়ার ঘটনায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের হল দুই বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে চুঁচুড়া থানায় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ও চুঁচুড়া মহিলা থানায় স্থানীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আলাদা ভাবে দুটি এফআইআর দায়ের হয়। উসকানিমূলক প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগেই এই এফআইআর (FIR) দায়ের হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই মহিলা থানার আইসি রূপসী পাহাড়ি চট্টোপাধ্যায় হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠিয়ে তদন্তের স্বার্থে আগামী ২২ মে থানায় এসে দেখা করতে বলেছেন। একইভাবে চুঁচুড়া থানা থেকেও অর্জুন সিংকে দেখা করতে বলা হয়েছে।

এদিকে এই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই শনিবার চুঁচুড়ায় লকেট চট্টোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘আমার কাছে কোনও অভিযোগের কপি আসেনি। তাই এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। পাশাপাশি তেলিনিপাড়ায় গোলমালের ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘বেছে বেছে নিরীহ লোকেদের ধরা হচ্ছে। যার মধ্যে ৮০ শতাংশই হিন্দু।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকেই ধরা হচ্ছে। পাশাপাশি সাংসদ দাবি করেন, তেলিনিপাড়ায় প্রচুর অস্ত্র মজুত করা হয়েছে। এই ঘটনার মূল পাণ্ডাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাঁর অভিযোগের তির স্থানীয় এক তৃণমূল কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ফেসবুকে যে মহিলা ভদ্রেশ্বরের সংঘর্ষের ছবি পোস্ট করার জেরে গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁকে নিজেদের দলের সদস্য বলেই দাবি করেন লকেট।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকডাউনে দোকান খুললেও মহার্ঘ মদ, গ্রামাঞ্চলে নেশা মেটাচ্ছে মহুল-হাঁড়িয়াই ]

তিনি আরও অভিযোগ তুলেছেন, চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার সাংসদের সঙ্গে দেখা করছেন না। অথচ তিনি রাজ্যের মন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে দেখা করছেন।

এদিকে এফআইআরের বিষয়ে হুগলি জেলার তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব জানান, লকেট চট্টোপাধ্যায় এখানে অশান্তি বাঁধানোর জন্যই গুণ্ডা অর্জুনকে নিয়ে এসেছিলেন। ভদ্রেশ্বরের তেলিনিপাড়ায় তাঁরা অশান্তি পাকানোর জন্যই প্রশাসন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। যার জন্য সাধারণ মানুষকে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই বিষয়টির জন্য সম্পূর্ণ দায়ী লকেট চট্টোপাধ্যায়।

[আরও পড়ুন: বাবার চিকিৎসার খরচ জোগাতে ঘর ছাড়াই কাল! আক্ষেপ উত্তরপ্রদেশে মৃত বাংলার শ্রমিকের মায়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement