রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যের একাধিক এলাকায় চলতে থাকা অশান্তি নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চাইলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এই মর্মে এই চারজনকে চিঠি দিলেন তিনি। বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, অশান্তির জেরে সমস্যায় পড়ছে আমজনতা। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যোগ্য ভূমিকা পালন করছে না রাজ্য সরকার। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে চিঠি দিয়েছেন রানাঘাটের সাংসদ। প্রতিটি চিঠির বয়ানই প্রায় একই। চিঠিজুড়ে রাজ্যের বিক্ষিপ্ত অশান্তির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। কীভাবে হাওড়ায় গাড়িতে, বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরানো হয়েছে তাও সবিস্তারে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
সাংসদের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের ঘরবাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী, বেথুয়াডহরি স্টেশনে রাণাঘাট-লালগোলা মেমু প্যাসেঞ্জারে যে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, তাও তুলে ধরেছেন সাংসদ। তবে এই ঘটনার উল্লেখ করতে গিয়ে একটি ভুলও করে বসেন সাংসদ। চিঠিতে বেথুয়াডহরি স্টেশনটিকে মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত বলে উল্লেখ করেন। অথচ স্টেশনটি নদিয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত। তিনি আবার নদিয়া জেলার রাণাঘাটেরই সাংসদ।
প্রসঙ্গত, হাওড়ার অশান্ত এলাকায় যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া হয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এমনকী, তাঁকে আটকও করে রাখা হয়েছিল। সেই ঘটনারও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। সাংসদের অভিযোগ, অশান্তি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে জখম হন বহু পুলিশকর্মী। তার পরেও রাজ্য কোনও কড়া পদক্ষেপ করছে না বলেই অভিযোগ করেছেন বিজেপি সাংসদ। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন তিনি।
হজরত মহম্মদকে নিয়ে দিল্লির বিজেপি নেতানেত্রীদের বিতর্কিত মন্তব্যে (Prophet Remark Row) প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। হাওড়ার বিভিন্ন অংশে রেল, রাস্তা অবরোধের পর রবিবার অশান্তি ছড়িয়েছিল নদিয়ায় (Nadia)। বেথুয়াডহরি থানার কাছে বিক্ষোভ মিছিলে কয়েকহাজার মানুষ শামিল হন। বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে যায় রাস্তা। সেখান থেকেই ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর বিক্ষুব্ধরা বেথুয়াডহরি স্টেশনে পৌঁছে রানাঘাট-লালগোলা মেমু ট্রেনে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। বিভিন্ন স্টেশনে অশান্তির জেরে আটকে পড়ে দূরপাল্লার ট্রেন। পরে রেল পুলিশের সাহায্যে অবরোধ ওঠে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.