নন্দন দত্ত, বীরভূম: অনুব্রতর গড়ে দাঁড়িয়ে তাঁকেই নিশানা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নবান্ন উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে বললেন, “অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) জেলে চাল পাঠাবো। পিষে সিন্নি করবেন।” অনুব্রতকে বাঘের মাসি অর্থাৎ বেড়াল বলেও কটাক্ষ করলেন তিনি। পালটা দিতে ছাড়লেন না বীরভূম তৃণমূলের মুখপাত্র। বললেন, “চালবাজি করেই তো চালাচ্ছে বিজেপি।”
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। বিধানসভা নির্বাচনের ভরাডুবির রেশ কাটিয়ে নতুন উদ্যোমে মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির। রাজ্য জুড়ে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। তারই অংশ হিসেবে রবিবার নবান্ন উৎসব উপলক্ষে বোলপুর সাংগঠনিক জেলার মল্লারপুরে গোয়ালা গ্রামে যান সুকান্ত মজুমদার। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। সকালে এক দলীয় কর্মীর বাড়ির বারান্দায় বলে কলাপাতায় নতুন ধানের চালের গুঁড়ো, কলা, নারকেল, গুড়ের মিষ্টি খান। দুপুরের আহারও সেখানেই সারেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি ও অন্যান্য বিজেপি নেতারা। দুপুরের মেনুতে ছিল বেগুন ভাজা, মুলো ভাজা, মুগের ডাল, ফুলকপি সবজি, আলু পোস্ত, মাছের ঝাল, মিষ্টি, দই, পায়েস।
সেখান থেকেই অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে দাঁড়িয়েই তাঁকে কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার। বলেন, “নবান্ন উপলক্ষে অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে কিছুটা চাল পাঠিয়ে দেব। উনি তো ওখানে চাকি পিষছেন। আমি চাল পাঠাবো। পিষে সিন্নি করে নেবেন।” খাওয়াদাওয়ার পর এদিন মল্লারপুরের নিমিতলার মাঠে সভা করেন সুকান্ত। সেখানও তাঁর নিশানায় ছিলেন অনুব্রত। রাজ্য বিজেপি সভাপতি এদিন বলেন, “অনেকে বলছেন বাঘ জেলে আছে। আমি বলি বাঘ না, উনি বাঘের মাসি। মাসির কত ছেলে পিলে হয় জানেন তো। মাসির ছেলেরা বাইরে কাউ মাউ করছে। আপনারা হাতের সামনে পেলেই ধরুন আর জেলে পাঠান।”
এ প্রসঙ্গে বীরভূম তৃণমূলের মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “গোটা রাজ্যে বিজেপি মানুষের সঙ্গে এভাবেই চালবাজি করে চালাচ্ছে। মানুষ সেটা ধরে ফেলেছে। বিধানসভা নির্বাচনের ফলেই বিজেপি তা বুঝে গিয়েথে। মানুষের দুয়ারে চাল পৌঁছচ্ছেন মমতা। আর ওনারা মিথ্যে মামলায় তৃণমূল নেতাদের জেলে পাঠাচ্ছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.