নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। শনিবার ময়ূরেশ্বরের কোটাসুরে বিজেপির মিছিল ছিল। সেই মিছিল শেষে সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রীর মদতেই রাজ্যে ভাঙচুর চলছে।” বিজেপি সাংসদের মন্তব্যে ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়েছে। এদিকে মিছিলে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের হাতে লাঠি ছিল বলে অভিযোগ। যা দেখে বিজেপির মিছিলের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
CAA’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় মিছিল করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। বীরভূমও ব্যতিক্রম নয়। দিন কয়েক আগে কোটাসুরে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর প্রতিবাদ মিছিল থেকে বিজেপির পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার প্রতিবাদেই শনিবার বিজেপির পক্ষ থেকে কোটাসুরে জনসভার ডাক দেওয়া হয়। তবে এদিন মিছিলে আসা বেশিরভাগ কর্মী, সমর্থকদের হাতে মোটা লাঠি দেখতে পাওয়া যায়। যা ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছে।
এ মিছিল শেষে সভা থেকে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন বিজেপির সাংসদ তথা বীরভূমের পর্যবেক্ষক সৌমিত্র খাঁ। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে সৌমি্ত্রের অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ভাংচুরের নেত্রী। তাই সমাজে বিভেদ করতে তিনি নিজেই পথে নামছেন রোজ। ভাংচুর চালাচ্ছেন।” একইসঙ্গে তাঁর দাবি, “তৃণমূলের মন্ত্রিসভায় ভাঙন ধরছে। জানুয়ারি মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের এক মন্ত্রী-সহ একাধিক বিধায়ক তৃণমূল ছাড়ছে।”
নেতা-কর্মীদের হাতে লাঠি প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, “লাঠি আর দন্ডের তফাত আছে। কর্মীরা দন্ডের ওপর দলীয় পতাকা লাগিয়ে এসেছিলেন।” তিনি জানান, মিছিলে উপস্থিত সমর্থকের সংখ্যা প্রায় দশ হাজার। বিজেপির জেলা সভাপতির দাবি, “দন্ড হাতে কর্মীরা ঝামেলা করতে চাইলে পুলিশ সামলাতেও পারত না। তাই দন্ডটা তাঁদের কাছে বড় কথা নয়। পার্টি অফিস ভাঙচুরের পরও শান্তিপূর্ণভাবে বিজেপি মিছিল করার কথা দিয়েছিল। তারপরও আজ তৃণমূলের নেতারা প্রশ্ন তুলছেন। আসলে তারা দন্ড দেখেই ভয় পেয়ে গিয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.