টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamool Congress) যোগ দেওয়া বিজেপি (BJP) বিধায়ক তন্ময়কে নাক ঘষে ঘষে বিজেপিতে ফিরে আসতে হবে। বৃহস্পতিবার এই ভাষাতেই দলত্যাগী বিধায়ক তন্ময়ের বিরুদ্ধে তোপ তাগলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra khan)। শুধু তাই নয়, তাঁর বক্তব্য, শীঘ্রই নাকি উঠে যাবে তৃণমূল দলটাই।
সৌমিত্র খাঁ বলেন, “ইতিহাস বলছে কোনও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ২০ বছরের বেশি এদেশে টেকেনি। সেই সূত্র ধরে তৃণমূল কংগ্রেস আর কয়েকটা বছর পরেই এই রাজ্য থেকে ক্ষমতা হারাবে। এবং ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার গঠন করবে।” এদিন দলত্যাগী বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ নিয়ে নানান ভাষায় কটাক্ষ করার পাশাপাশি তিনি বলেন, দলীয় কর্মীদের একাংশ নিষেধ অমান্য করে গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তন্ময়কে পদ্মফুল শিবিরের টিকিট দেওয়া হয়েছিল। আর এটা তাঁর ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এরপর তিনি আরও বলেন, ‘কয়লা’ থেকে ‘হিরে’ পাওয়ার লক্ষ্যে তন্ময়কে প্রার্থী করেছিল দল। তবে তিনি তাঁকে পুনরায় ‘কয়লা’ করে ছাড়বেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের তিন মাসের মধ্যেই বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ শিবির বদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এদিন দলীয় কর্মসূচিতে সেই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, ”বিষ্ণুপুরে তৃণমূল কংগ্রেস চারভাগে বিভক্ত। আগামী পুরসভা নির্বাচনে এটাকেই কাজে লাগাতে হবে আমাদের।”
যদিও তন্ময় বাবুর দলত্যাগ করার পর রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী দু’বার বিষ্ণুপুরে এসে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন। অথচ ওই দুটি বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু। এই ঘটনার পরই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সৌমিত্র খাঁর দুরত্ব বেড়ে যাওয়া নিয়ে কানাঘুষো চলছিল। এদিনের এই দলীয় বৈঠকে সেই বিষয়টি নিয়েও দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ”আমার একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে শুভেন্দু বাবুর সঙ্গে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল একথা ঠিকই, তবে তা মিটে গিয়েছে।” এদিনের এই কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমর শাখা সহ এজেলার একগুচ্ছ বিজেপি বিধায়ক ও নেতা কর্মী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.