সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটে জিততেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সৌমিত্র খাঁ। নিজের প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলেরও প্রশংসা শোনা গিয়েছে তাঁর গলাতে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৃণমূলের প্রশংসা করেই ক্ষান্ত হননি তিনি নিজের দলের রাজ্য নেতৃত্বকেও বিঁধেছেন। ভোট জয়ের পরই বিষ্ণুপুরের সাংসদের গলায় একথা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতির মহল।
বুধবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌমিত্র বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটা সিস্টেম তৈরি করেছে। যেটা রাজ্যের অনেক বড় নেতা ধরতে পারেননি।” সেই সিস্টেম তিনি ধরে ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন বিষ্ণুপুরের দ্বিতীয়বারের সাংসদ। কী সেই সিস্টেম? সৌমিত্রের কথায়, “ওরা প্রতিটা লোকসভায় ২টো করে বিধানসভায় জোর দিয়েছিল। আমাদের এখানে কোতুলপুর ও ইন্দাস ওদের লক্ষ্য ছিল। কোতুলপুরটা পুরোটা সামলালেও ইন্দাসটা পুরোটা সামলাতে পারলাম না।”
কেন বিজেপির হেভিওয়েটরা হেরেছেন? জবাবে সৌমিত্র জানান, “গণনায় মনোযোগ দেননি। যেদিন থেকে ভোটগ্রহণ হয়েছে সেদিন থেকে রাজার মতো ঘুরেছেন। তাই বিজেপি এভাবে হেরেছেন। নইলে আরও ৪-৫টা সিট হত।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের প্রশংসা করে বলেন, “বুঝতে হবে যে আমার সঙ্গে মাইনরিটি ভোট নেই। মহিলা, মাইনরিটি, অফিশিয়াল ও পুলিশ সব মিলিয়ে একটা টিম বানাতে হবে। অভিষেক ভালো কাজ করেছে। এই জন্য জিতেছে। শুভেন্দুদা প্ররিশ্রম করলেও সাফল্য পাননি।” জেলাস্তর থেকে মহিলা নেতৃত্ব তুলে আনার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। একইসঙ্গে সৌমিত্র তাৎপর্যপূর্ণ দাবি, তিনি তৃণমূলে থাকলে বিষ্ণুপুরে তাঁর জয়ের ব্যবধান হত অন্তত দেড় লক্ষ।
শুধু তাই নয়, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে তুলোধোনা করেছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। তাঁর কথায়, “রাজনীতিতে যারা জেতেনি, তারা রাজ্য চালাবে, এটা হয় না। যারা জিতে আসে তারা রাজ্য চালাবে। অহঙ্কার ছাড়তে হবে। সাংসদ হয়ে বিজেপির অনেকে অহঙ্কার হয়ে গিয়েছিল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.