ফাইল ছবি।
বিক্রম রায়, কোচবিহার: অযোধ্যায় নবনির্মিত রামমন্দিরের উদ্বোধন হতে চলেছে ২২ জানুয়ারি। সেই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে কোচবিহারেও অন্তত তিনটি রামমন্দির তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি। মন্দির তৈরির অন্যতম উদ্যোক্তা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।
মঙ্গলবার কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের ছড়ারকুঠি গ্রামে দুই ট্রাক বেলে পাথর এসে পৌঁছেছে। খরচ প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। ওই বেলেপাথর রাজস্থান থেকে নিয়ে আসার তদারকি করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজেই। তবে শুধুমাত্র কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে নয়, মাথাভাঙা এবং শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্র রামমন্দির তৈরি করতে উদ্যোগী বিজেপি নেতৃত্ব।
কোচবিহার উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ছড়ারকুঠি এলাকায় রামমন্দির তৈরি হচ্ছে। সেই মন্দির তৈরি করার জন্য সহযোগিতা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও। মন্দিরের জন্য বেলে পাথর এবং দক্ষ কারিগর রাজস্থান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে এই মন্দিরটি আগামী ২২ জানুয়ারি সূচনা করা হবে।
মন্দির কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা সূর্যকুমার পাইক জানান, ওই এলাকায় প্রায় সাত দশক পুরনো কালীমন্দির রয়েছে। প্রত্যেক দীপাবলিতে সেখানে পুজো হয়। এবার দীপাবলিতে কালীপুজোর সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে তাঁরা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এসেছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি মন্দিরের ফাঁকা স্থানে রামমন্দির তৈরি করার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় রামমন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মন্ত্রী নিজেই রাজস্থান থেকে প্রয়োজনীয় বেলে পাথর এবং কারিগরদের নিয়ে এসেছেন। এখানে গোটা বিষয়টি দেখছেন উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুকুমার রায়। ৩০ ফুট উচ্চতা এবং ১৫ ফিট চওড়া এই মন্দিরটি আগামী ২২ জানুয়ারির মধ্যে তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে চলে এসেছে রাম-সহ নয়টি মূর্তি।
যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর রামমন্দির তৈরি করার এই উদ্যোগের সমালোচনা করে কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখানে স্পোর্টস হাব তৈরি করার ঘোষণা করেছিলেন তবে এখনও সেটা হয়নি। নারায়ণী সেনা তৈরি করার আশ্বাস দিয়েছিলেন সেটাও হয়নি। রাম সকলের হৃদয়ে রয়েছেন। কাজেই তাঁকে নিয়ে রাজনীতি কখনওই করা উচিৎ নয়। সেটা না করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির উচিৎ কোচবিহারের হাজার-হাজার মানুষের ১০০ দিনের বকেয়া টাকা দ্রুত প্রদান করা এবং বাংলা আবাস যোজনার আটকে রাখা টাকা প্রদান করা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.