বিক্রম রায়, কোচবিহার: রাসমেলার পর এবার কোচবিহার জেলার বইমেলাতেও আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ। মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে আধিকারিকদের নাম যেখানে ঠাঁই পেয়েছে, সেখানে বাদ পড়েছেন কোচবিহার কেন্দ্রের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। আমন্ত্রিত তালিকায় বাম বিধায়ক নগেন্দ্রনাথ রায়ের নাম থাকলেও বিজেপির সাংসদের নাম বাদ দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কোনও রাজনৈতিক দল বা নেতা নন, জেলা বইমেলা কমিটির সভাপতি কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান, তাই প্রশাসনিক কর্তাদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংসদের নাম বাদ যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
এ বিষয়ে জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানান, তিনি পদমর্যাদায় সভাপতি। তবে সেখানে কারা আমন্ত্রিত রয়েছেন, সেটা তাঁর জানা নেই। জেলাশাসকের এই বক্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে। জেলা বইমেলা কমিটির সভাপতি কিছু না জানলে সেই তালিকা কি করে তৈরি হল এবং কারা সেটা তৈরি করল, এই প্রশ্ন তুললেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রমাণিক বলেন, “রাসমেলার আয়োজন তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার পক্ষ থেকে করা হয়েছিল। তখন চেয়ারম্যান সাফ জানিয়েছিল, দলের নির্দেশে তিনি তাঁর নাম দিয়েছেন। তবে বইমেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত হয়। সেখানে আমার নাম না থাকাটা অন্য কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। এখানেও যে এবার রাজনৈতির ছোঁয়া লাগছে, এটা তারই প্রমাণ।”
সাংসদদের অভিযোগ, প্রশাসনিক আধিকারিকদের দ্বারা পরিচালিত বইমেলাতেও তাঁর নাম না থাকায় এটাই স্পষ্ট যে, এই রাজ্য সরকারের আমলে প্রশাসনিক আধিকারিকরাও দলদাসে পরিণত হয়েছেন। জেলা বিজেপির অভিযোগ, বইমেলা কমিটির সভাপতি জেলাশাসক, কার্যকরী সভাপতি অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং সম্পাদক জেলা গ্রন্থাগারিক, ফলে প্রশাসনিক আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানেই আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকা তৈরি হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের থেকে শুরু করে মন্ত্রী-বিধায়কদের সকলের নাম রয়েছে। শুধু বাদ পড়েছে বিজেপির সাংসদের নাম। প্রশাসন সূত্রে খবর, কোচবিহারের বইমেলা ৩০ ডিসেম্বর রাসমেলার মাঠে শুরু হতে চলেছে। সেই মেলা চলবে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ করবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.