রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায় ও দেবব্রত মণ্ডল: দিলীপ ঘোষের পর এবার লকেট চট্টোপাধ্যায়। সুন্দরবনের মানুষদের ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পথ আটকাল পুলিশ। সুন্দরবন যাওয়ার পথে বারবার তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হল দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিভিন্ন এলাকা। এ নিয়েবারুইপুরের কাছে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা বেঁধে যায়। পরে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সাংসদ-সহ বিজেপি কর্মীরা। এই গোটা ঘটনায় শিকেয় উঠেছিল লকডাউন। পুলিশের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে বিজেপি সাংসদ সুন্দরবন এলাকায় গেলে লকডাউন ভাঙা হবে। যদিও সেই অভিযোগ নস্যাৎ করেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর পালটা অভিযোগ, গায়ের জোরে রাজনীতি করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত রবিবার তমলুকে যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ বিষয় নিয়ে কেন্দ্রে এই বিষয় নিয়ে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানান লকেট চট্টোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, সুন্দরবনে আমফান দুর্গত এলাকায় ত্রাণ দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপি মহিলা সাংসদ। প্রথমে তাঁকে ক্যানিংয়ের তালদি এলাকায় আটকায় পুলিশ। সেখানে দীর্ঘ বচসার পর বারুইপুরের রাস্তা ধরেন তিনি। সেখানেও তাঁর পথ আটকায় পুলিশ। এরপর উ্ত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ঘন্টাখানেক ধরে চলে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের কথা কাটাকাটি চলে। এরপরও সাসংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় কে জেতে না দেওয়ায় পথে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তিনি। রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রায় দুই ঘন্টা পর বাধ্য হয়ে বারুইপুরের লকেট চট্টোপাধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যান। বারুইপুর পার্টি অফিসে কিছুক্ষণ থাকার পর কলকাতায় ফিরে যান তিনি।
কেন জনপ্রতিনিধিকে রাস্তায় আটকানো হল? পুলিশের দাবি, লকাউন চলছে। করোনা পরিস্থিতিতে বিজেপি সাংসদ সুন্দরবন অঞ্চলে গেলে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম বজায় রাখা যাবে না। তাই জনপ্রতিনিধিকে আটকানো হল। বরং বিজেপি সাংসদকে প্রশাসনের কাছে ত্রাণ সামগ্রী জমা করে দিতে বলা হয়। যদিও সেকথা মানতে নারাজ বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “রাজ্য সরকার বেছে বেছে ত্রাণ দিচ্ছে। তাই তাঁরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু গায়ের জোরে তাঁকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। রাজনীতি করার উদ্দেশ্যেই এমনটা করছে তৃণমূল সরকার।”
দেখুন ভিডিও :
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.