Advertisement
Advertisement

Breaking News

BJP

ভোট বড় বালাই! ভোলেবাবার ‘বিবাহ অভিযানে’ ‘রাজনীতি’ বিজেপি সাংসদের

পুরুলিয়ায় নজর কাড়ল শিব-পার্বতীর বিয়ে।

BJP MP Jyotirmay Singh Mahato attends Shivaratri celebration with flag
Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 10, 2024 4:53 pm
  • Updated:March 10, 2024 4:53 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: রাম বা শিব। ভোট বড় বালাই।
তাই রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় হনুমান চালিশা প্রচার সমিতির আয়োজনে পুরুলিয়া শহরের গোশালা হনুমান মন্দিরে যেমন হাজির ছিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। একইভাবে ওই সংস্থার আয়োজনে মহাশিবরাত্রিতে শিব-পার্বতীর বিবাহ শোভাযাত্রায় হাজির থাকলেন সাংসদ তথা পুরুলিয়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। শুক্রবার পুরুলিয়া শহরের স্টেশনের হনুমান মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে গোশালা মন্দির প্রাঙ্গন পর্যন্ত ওই বিবাহ শোভাযাত্রায় শামিল ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে গেরুয়া পতাকা নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা।

শোভাযাত্রার পর রাতে গোশালা মন্দির প্রাঙ্গণে শিব- পার্বতীর বিবাহ হয়। ওই বিবাহ অনুষ্ঠান সকলের চোখ টানে। তা দেখতে হাজির ছিলেন প্রায় হাজারেরও বেশি ভক্ত। এই বিবাহকে ঘিরে ছিল ভান্ডারার আয়োজনও। সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী বলেন, “ভোলেবাবার আশীর্বাদ যাতে পুরুলিয়ার সকল মানুষ পান সেই ইচ্ছা নিয়েই ওই শোভাযাত্রায় শামিল হয়েছিলাম। ওই শোভাযাত্রায় থাকতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে।”

Advertisement

[আরও পড়়ুন: ‘নো ভোট টু তৃণমূল’, মোদির মঞ্চ থেকে লড়াইয়ের ডাক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের]

গত জানুয়ারি মাসে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় গোশালা মন্দির প্রাঙ্গণে হনুমান চালিশা প্রচার সমিতির আয়োজনে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে আলাদা ছাপ ফেলেছিল। এই অনুষ্ঠানেও বিজেপি সাংসদ হাজির থেকে মানুষের মন কেড়ে নিয়েছিলেন। রাজনৈতিক প্রচারে খানিকটা এগিয়ে গিয়েছিল বিজেপি। একইভাবে মহাশিবরাত্রিতে এই বিবাহ শোভাযাত্রাতেও প্রার্থীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে ভোটের আগে জনসংযোগ সারলেন সাংসদ। শ্রী রামচন্দ্র বা মহাদেব। সবেতেই উপস্থিতি বিজেপির।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে শ্রী রামচন্দ্রের আবেগে জয় শ্রীরাম স্লোগানে দু’লক্ষের বেশি ভোটে জিতেছিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ। তারপরেই কংগ্রেস জেলা সভাপতি তৎকালীন বিধায়ক নেপাল মাহাতো ‘হর হর মহাদেব’র স্লোগান তুলেছিলেন রাজনৈতিক ময়দানে। পরবর্তীকালে শ্রাবণ মাসে শিবের মাথায় জল ঢালতে দেখা যায় তাঁকে। এবার শিবরাত্রিতেও তিনি পুজো করেন। সেই ছবিও সোশ্যাল সাইটে তিনি নিজেই পোস্ট করেছেন। তবে শুক্রবার মহাশিবরাত্রি অনুষ্ঠানে সাংসদ হাজির থেকে বোঝালেন তাঁর মূল অস্ত্র জনসংযোগ-ই।

[আরও পডু়ন: ‘আমার শরীর নিয়ে খেলা করেছে!’, আদিল ফের বিয়ে করতেই গর্জে উঠলেন রাখি]

শিবের ওই বরযাত্রীর শোভাযাত্রায় মহিলাদের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। শোভাযাত্রার পর হয় বরমালা। ভান্ডারায় ছিল ৪০০ কিলো আটার লুচি, ৯০০ কেজি আলুর সবজি এবং ১৮০ কেজি বেসনের বোঁদে। শিব-পার্বতী সেজে থাকা ভক্তরা বলেন, “আমাদের ভীষণই সৌভাগ্য যে এইভাবে আমরা শিব-পার্বতী সেজে এই অনুষ্ঠানে শামিল হতে পেরেছি।” হনুমান চালিশা প্রচার সমিতির কর্মকর্তা তথা গোশালা হনুমান মন্দিরের পূজারী জগদীশ লাটা বলেন, “৪০ বছর আগে মহাশিবরাত্রিতে এভাবে শিব- পার্বতীর বিয়ের অনুষ্ঠান হতো এই শহরে। তারপর বহুদিন ধরে বন্ধ। আমরা আবার শুরু করলাম। এই বিবাহ অনুষ্ঠানকে ঘিরে মানুষের ঢল নেমেছিল। মহাদেবের কৃপা থাকলে আগামী বছরও আমরা এমন আয়োজন করতে পারব।” আর এই আয়োজনকে ঘিরে ভোটের প্রচার সেরে নিলেন সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement