ফাইল চিত্র।
বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: টিকিট না পেয়ে রীতিমতো বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। এমনকি বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের দিকেও এগোচ্ছিলেন। কিন্তু দিল্লির এক ফোনে হঠাৎ ডিগবাজি। রণেভঙ্গ দিয়ে শনিবার শিলিগুড়ি কাওয়াখালিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় হাজির থাকলেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী জন বারলা। থাকলেন শুধু নয়। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসলেন। দু’জনের মধ্যে কিছু কথাও হল। কিন্তু কী কথা হয়েছে সভা শেষে জন খোলসা করেননি। তবে আপাতত বিপ্লবে যে যবনিকা টেনেছে সেটা তার ‘বডিল্যাঙ্গুয়েজ’ থেকেই স্পষ্ট ছিল।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে চা বলয়ের ভোট টানতে জন বারলার জনপ্রিয়তা ছিল বিজেপির তুরুপের তাস। বার্লাকে পাশে নিয়ে এনআরসি ইস্যুকে সামনে আনেন অমিত শাহ। আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক দখল করে বার্লা জয়লাভ করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হন। কিন্তু পাঁচ বছরে ছবি পালটে যায়। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, চা শ্রমিক সংগঠনের নামের স্বেচ্ছাচারিতার বিভিন্ন অভিযোগ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জমা হতে শুরু করে। পরিণতিতে এবার লোকসভা ভোটে টিকিট পাননি বার্লা। তার পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি নেতা মনোজ টিগ্গা।
প্রার্থী তালিকায় তাঁর জায়গায় মনোজের নাম দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বারলা। মনোজকে অপমান করতেও ছাড়েনি। এমনকি তাঁকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে হুমকি দেন। কিন্তু শুক্রবার দিল্লির ফোন পেয়ে রণেভঙ্গ দেন। শনিবার লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভার উদ্দেশ্যে রওনা হন। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দেব। নরেন্দ্র মোদি আমার বাবা-মা। বিজেপি ছাড়ার কথা ভাবছি না। সুযোগ পেলে উত্তরবঙ্গের কিছু বিজেপি নেতার দুর্নীতির প্রমাণ তুলে ধরব প্রধানমন্ত্রীর সামনে।” এদিন সভাস্থলে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রীর ঠিক পাশে বসেন বিদ্রোহী সাংসদ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁকে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু কী কথা হয়েছে জানা যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.