শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের মধ্যেই রায়গঞ্জ শহরের জনসাধারণের মুখে মাস্ক পরাতে পথে নামেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যান মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
শুক্রবার জেলাশাসকের কাছে ই-মেলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান চাকুলিয়ার বিধায়ক ফরওয়ার্ড ব্লকের আলি ইমরান রামজ। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন। কিন্তু বিজেপির মন্ত্রিসভার সদস্য দেবশ্রী চৌধুরিই দিল্লি থেকে এসে লকডাউনের নিয়ম ভাঙছেন। লকডাউনের মধ্যে কীভাবে রায়গঞ্জে মাস্ক বিলি করলেন তিনি? বিষয়টা জেলাপ্রশাসনেরই বা নজর এড়িয়ে গেল কীভাবে? তাঁর কি আদৌ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলছেন, সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই নিয়ম ভাঙলেন।” একই অভিযোগ জানান রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “প্রধানমন্ত্রী লকডাউনে ঘরে থাকতে বলেছেন। অথচ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিয়ম উপেক্ষা করলেন কীভাবে?”
এদিকে, এদিন রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের সন্দীপ বিশ্বাসও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, “লকডাউনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেশের আইন মানলেন না। তদন্ত হওয়া উচিত।”
বস্তুত, বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের রাস্তায় ঘুরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিজের মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে বাসিন্দাদের মধ্যে মাস্ক বিলি করেন স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি। বিরোধীদের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “লকডাউনের আগে থেকে আমি কলকাতার বাড়িতে ছিলাম। খেয়াল রাখতে হবে, লকডাউন শুরু হয় ২৩ মার্চ বিকাল পাঁচটা থেকে। আমি তার আগেই কলকাতায় পৌঁছে যাই। তাছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিজের স্যানিটাইজড গাড়িতে রায়গঞ্জে এসেছিলাম। ফলে কোনও সমস্যা নেই। আমি স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। বিরোধীরা অপপ্রচার করতে যেন মরিয়া হয়ে উঠেছে।” তবে জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.