চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: করোনা আবহে প্রায় ৬ মাস পর নিজের সংসদীয় এলাকায় এলেন বাবুল সুপ্রিয়। তবে স্থানীয়দের আপত্তির জন্য তিনি মহিশীলায় নিজের আবাসনে না গিয়ে আসানসোলের একটি হোটেলে ওঠেন। আসানসোলে এসেই তিনি করোনা টেস্ট করান। রিপোর্ট নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত তিনি হোটেলেই থাকবেন। এদিন বিকেলে নিয়ামতপুরে কর্মসূচি থাকলেও তিনি সেখানে যাননি। তবে আসানসোলে এসেই তিনি তোপ দাগেন তৃণমূলকে। বারাকপুরের (Barrackpore) ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তৃণমূলের মিছিল শেষ হয়ে যাওয়ার পর গুলি করে মারা হয়েছে অর্জুন ভাইয়ের একদম কাছের ছেলেকে। আমরা বহুবার রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছি ৩৫৬ জারি করার জন্য। পশ্চিমবঙ্গের যা অবস্থা তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে ৩৫৬ জারি করাই উচিত। তবে আমরা মানুষের রায়ে বিশ্বাস করি।”
দীর্ঘ লকডাউনের পর সোমবার আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) রাজধানী এক্সপ্রেসে আসানসোল স্টেশনে নামেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে, কথা বলতে ও অভ্যর্থনা জানাতে উপচে পড়ে ভিড়। সমস্ত সামাজিক দূরত্বের নিয়ম এদিন ভেঙে যায়। বাবুলকে একবার দেখার জন্য কোভিডবিধি অমান্য করেন অনেকেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাকাল হতে হয় আরপিএফ বাহিনীকে। স্টেশন চত্বর থেকে বেরতেই বাবুলের সময় লেগে যায় প্রায় ৪৫ মিনিট। বাবুল সুপ্রিয় বলেন, “খুব ভাল লাগছে এতদিন পর এসে। কিন্তু আমার চারপাশটা দেখেই বুঝতে পারছেন সমস্ত নিয়ম ভেঙে গিয়েছে। আমি এলাকায় ঘুরলে এরকম হবে এটা আমি জানতাম তাই এতদিন আসিনি। মানুষের উচ্ছ্বাস, ভালবাসাকে তো উপেক্ষা করার উপায় নেই। তাই গাড়িতে আমি অন্তত ১ হাজার মাস্ক নিয়ে ঘুরছি। যেখানে যাবো, মানুষকে দিতে হবে।”
আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়র বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ চলছিল। সেই কাজ কিছুটা মন্থর হয়ে যায় লকডাউনে। তবে নিজের সংসদীয় এলাকায় দীর্ঘ অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, “আমি দিল্লিতে থাকলেও আমার কাজ করে গিয়েছি। কুমারপুর রেল ব্রিজ, ইএসআই হাসপাতাল, জাতীয় সড়কের ধারে সার্ভিস রোড-সহ অনেক কাজ হয়েছে।” এদিন হাথরাস নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, “যোগিজি সিবিআই তদন্তের কথা নিজে থেকেই বলেছেন। যে সমস্ত পুলিশ আধিকারিক বেপরোয়াভাবে কাজকর্ম করেছে তাদের উপর শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাস্তায় নামার কোনও অধিকার নেই এটা একটা দেশব্যাপী, বিশ্বব্যাপী সমস্যা। সেজন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.