সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিটাগড়ের বিজেপি কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডে (Manish Shukla Murder case) এবার সরাসরি তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষকে ‘মূল চক্রী’ বলে অভিহিত করলেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি নাম করলেন বারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্তরও। অভিযোগ, এঁরা সকলেই মণীশ শুক্লাকে খুনের কথা জানতেন। যদিও বিজেপি সাংসদের এই অভিযোগের তেমন প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি নির্মল ঘোষ (Nirmal Ghosh)। অর্জুনকে পালটা ‘বাহুবলি’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
গত রবিবার ভর সন্ধেবেলা টিটাগড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুষ্কৃতীদের এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন হন তরুণ নেতা তথা অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা। নেপথ্যে উঠে আসে রাজনৈতিক শত্রুতা। পরেরদিনই তদন্তভার যায় সিআইডি’র হাতে। তদন্তে নেমে প্রথমে ব্যক্তিগত শত্রুতায় এই হত্যাকাণ্ড মনে করেছিলেন তদন্তকারীরা। গ্রেপ্তার করা হয় মহম্মদ খুররম খান ও গুলাব শেখ নামে দুই ব্যক্তিকে। এই খুররমের সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে মণীশকে খুন হতে হয় বলে প্রাথমিক অনুমান ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যায়, ব্যক্তিগত শত্রুতাকেই রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগিয়ে গোটা পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ঘটনার প্রথম থেকেই বিজেপি এর নেপথ্যে শাসকদল-পুলিশের যোগসাজশকে দায়ী করছিল। এমনকী মণীশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ধৃত সুবোধ যাদব বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গিয়েছিল। শনিবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়ালেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Sing)। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, ”ঘটনায় মূল চক্রী তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। আর শীলভদ্র দত্তও সব জানতেন। তাই ওইদিন ওনার ফোন বন্ধ ছিল।” তাঁর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্মল ঘোষের সাফ প্রতিক্রিয়া, ”ঘটনার তদন্ত চলছে। বাহুবলির মন্তব্য নিয়ে কোনও কথা বলব না।” বারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
এদিকে, মণীশ শুক্লা খুনে পাটনার সেন্ট্রাল জেলে বন্দি সুবোধ সিং নামে কুখ্যাত দুষ্কৃতীর সাহায্য নেওয়া হয়েছিল বলে ধৃতদের জেরায় তথ্য মিলেছে। সূত্রের খবর, সেই সুবোধকে জেরা করার জন্য পাটনা যাচ্ছে সিআইডির একটি দল। প্রয়োজনে তাকে রিমান্ডে নিয়েও বিস্তারিত জানার আবেদন করতে পারেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.