টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: আগামী বছরই নির্বাচন। তবে তার আগে ক্রমশই শক্তি বাড়ছে তৃণমূলের। অন্যদিকে দুর্বল হচ্ছে বিজেপি। অব্যাহত বিজেপির ভাঙন। শুক্রবার বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য ও তাঁর অনুগামীরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। কার্যালয়ে তাঁদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তুলে দেন শ্যামল সাঁতরা।
১৯৬৫ সাল থেকে টানা ২৫ বছর বিষ্ণুপুর পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন তুষারকান্তি ভট্টাচার্য। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত বিষ্ণুপুর পৌরসভার পৌর প্রধান ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামনে ছিলেন দীর্ঘদিন। তারপর দীর্ঘ কয়েক বছর রাজনীতির ময়দান থেকে দূরে থাকেন। ২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হয়ে বিধায়ক হন তুষারবাবু। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সময় ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্মফুল শিবিরে যোগ দেন তিনি। বছর ঘুরতেই মোহভঙ্গ। শুক্রবার ফের তিনি যোগ দিলেন তৃণমূলে।
কেন বছরখানেকের মধ্যে দলবদল করলেন তিনি? সদ্য দলত্যাগী বিধায়ক বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বাংলার উন্নয়ন করে চলেছেন তাঁর কাজের সঙ্গী হতে আমার তৃণমূলে আসা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা মানুষের পাশে থেকে কাজ করেন। আর সে কারণেই সাধারণ মানুষের কাছে মুখ্যমন্ত্রী এত জনপ্রিয়। মুখ্যমন্ত্রীর সৈনিক হিসেবে যোগদান করতে তৃণমূল কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় আসা।”
দিনকয়েক আগে হাওড়ায় বিজেপি, সিপিএমে বড়সড় ভাঙন ধরে। দল ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগ দেন কমপক্ষে এক হাজার কর্মী। দক্ষিণ হাওড়া, মধ্য হাওড়া এবং শিবপুর এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রের কর্মীরাই মূলত দলত্যাগ করে ঘাসফুল শিবিরের শক্তি বৃদ্ধি করে। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.