সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুতে সামনে এল বেশ কিছু নয়া তথ্য। হেমতাবাদের এই বিজেপি বিধায়ক ব্যবসায়িক টানাপোড়েনের মধ্যে ছিলেন বলে দাবি পুলিশের। তদন্তের কাজ কিছুটা এগনোর পর নতুন কয়েকটি তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। জানা গিয়েছে, ব্যবসায়িক সমস্যার জন্য মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। যার জন্য তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের দাবি, খোঁজ মিলেছে সুইসাইড নোটে (Suicide Note) উল্লেখ দুই ব্যক্তিরও।
সোমবার বিধায়কের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় একটি চায়ের দোকান থেকে। তাঁর শার্টের পকেট থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে দু’জনের নাম উল্লেখ ছিল। ছিল ফোন নম্বরও। সেসব সূত্র ধরে তদন্ত করতে করতেই পুলিশ তাঁদের খোঁজ পেয়েছে বলে দাবি করে। পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, এদের মধ্যে একজনের নাম নিলয় সিনহা, অপরজন মামুদ আলি। নিলয়ের বাড়ির মালগহের ইংরেজ বাজারে, মামুদ চাঁচলের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, এঁদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল দেবেন্দ্রনাথ রায়ের। সূত্রের খবর, এঁদের সঙ্গে চালকলের ব্যবসা করতেন হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক। মামুদের সূত্র ধরেই নিলয় সিনহা নামে ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়। দেবেন্দ্রনাথের রায়গঞ্জে বাড়িতে মাস ছয়েক ভাড়াও ছিলেন নিলয়।
পুলিশের আরও দাবি, তদন্তে তারা জানতে পেরেছে, ব্যবসার জন্য রায়গঞ্জের বাড়িটি বন্ধক রেখেছিলেন বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। মোটা অঙ্কের টাকা তিনি ধারও দিয়েছিলেন শরিকদের। সম্প্রতি নিলয় সিনহা এবং মামুদ আলির সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। যার জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তা থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বিধায়ক, এমনই দাবি করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, তল্লাশি চালিয়ে নিলয় সিনহা এবং মামুদকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশের দাবি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.