টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বিধায়ক হওয়ার চার মাসেই স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে দলের কর্মীকে বরমাল্য পরালেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি (Chandana Bauri)। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। চন্দনাদেবীর এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ দলের কর্মী সমর্থকরা। তবে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি চন্দনার।
বিধানসভার টিকিট পাওয়ার পর থেকেই সকলের নজরে ছিলেন চন্দনা বাউরি। কারণ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া চন্দনাকে ভোটের ময়দানে দেখে কিছুটা অবাকই হয়েছিলেন সকলে। তবে দলের ভরসার সম্মান রেখেছিলেন তিনি। মানুষের স্বার্থে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নির্বাচনের আগে ঝড়-জল উপেক্ষা করে মানুষের কাছে পৌঁছেছিলেন তিনি। ভোটে জিতেওছেন। এরপরই স্বপ্ন দেখেছিলেন সংসার ও এলাকার মানুষদের নিয়ে সুস্থ জীবনযাপনের। কিন্তু গাড়ি চালকের সঙ্গে সম্পর্কই পালটে দিল শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরির জীবন। ব্যাপারটা ঠিক কী? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে পালটাতে থাকে চন্দনার জীবনযাত্রা। অল্প সময়ের মধ্যে নিজের গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বিধায়ক।
জানা গিয়েছে, স্বামী ও দুধের সন্তানের কথা চিন্তা না করেই বুধবার রাতে লুকিয়ে বিবাহিত প্রেমিক কৃষ্ণকে বিয়ে করেন চন্দনা। তারপর এক সঙ্গেই ছিলেন তাঁরা। কোনওভাবে বিষয়টি জানতে পারেন চন্দনার প্রথম স্বামী। কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় যান তিনি। তবে অভিযোগ দায়ের করেননি। এরপরই চন্দনা ও কৃষ্ণের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তাঁদের ডেকে পাঠায় থানায়। বৃহস্পতিবার নবদম্পতি থানায় যান। এদিকে কৃষ্ণের স্ত্রীও পুলিশের দ্বারস্থ হন। জানা গিয়েছে, এরপরই প্রথম স্বামীর সঙ্গে চন্দনাকে বাড়িতে ফেরত পাঠায় পুলিশ।
এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন দলের নেতা-কর্মীরা। প্রিয় নেত্রীর এহেন আচরণ মেনে নিতে পারছেন না কেউ। যদিও বিষয়টি ভিত্তিহীন বলেই দাবি চন্দনার। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা করা হচ্ছে।স্বামীর সঙ্গে সামান্য ঝামেলা হয়েছিল তাঁর। সেই ক্ষোভেই পুলিশের দ্বারস্থ হন স্বামী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.