জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বনগাঁ বিজেপিতে (BJP) গোষ্ঠীকোন্দল চলছেই। যার জেরে ভাঙনও ধরেছে দলে। দলবদলের সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে। এর মাঝেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকে অনুপস্থিতির পর এবার বাগদায় দলীয় মিছিলেও দেখা গেল না স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে (Biswajit Das)। তাঁর অনুপস্থিতি ঘিরে বাড়ছে জল্পনা।
নির্বাচনের পরবর্তী হিংসা ও ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্নীতির প্রতিবাদে সোমবার সন্ধেয় বাগদা থানার হেলেঞ্চা বাজারে মশাল হাতে মিছিল করেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ (Bangaon) উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর-সহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। তবে দেখা মেলেনি বিধায়কের। এদিকে কলকাতা, হাওড়া-সহ একাধিক এলাকায় বিজেপির মশাল মিছিলকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছিল।
বিশ্বজিৎবাবুর অনুপস্থিতি নিয়ে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব বলেন, “উনি অসুস্থ তাই আসতে পারিনি।” যদিও এ বিষয়ে বিশ্বজিৎ দাস কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বাগদার তৃণমূল নেতা তরুণ ঘোষ বলেন “কেবল এদিনই নয়, বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে বিধায়ককে দেখা যায় না৷ তিনি বিজেপিতে আছেন কিনা সেটা নিয়েও সংশয় আছে।” দলীয় কর্মসূচিতে বিধায়কের অনুপস্থিতি নিয়ে ফের দলবদলের গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে৷
কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় জলশক্তি প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে হওয়া সাংগঠনিক সভায় গরহাজির ছিলেন বিজেপির একাধিক নেতা, বিধায়ক (BJP MLA)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। সেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দেখা মিলল না বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার সুব্রত ঠাকুরের৷ পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে দেখা যায়নি বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল, কল্যাণ সরকার-সহ একাধিক নেতাকে৷ যার জেরে বেড়েছে আরও জল্পনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.