রাজা দাস, বালুরঘাট: গ্রাম সংসদ নির্বাচিত বিজেপি প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল বালুরঘাটে। অপহৃত বিজেপি প্রার্থীর নাম বিপ্লব মাহাতো। অভিযোগ, সোমবার রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে অপহরণ করে। তিনি তখন বাড়িতে ফিরছিলেন। অপহরণের ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। একই সঙ্গে অপহরণের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, বোর্ড গঠনের আগে সহানুভূতি কুড়োতেই এসব করছে বিজেপি। বলা বাহুল্য, মঙ্গলবার বেলার দিকে ওই অপহৃত বিজেপি প্রার্থী নিজেই বাড়িতে ফিরে আসেন। তাঁর দাবি, দুষ্কৃতীরা যে স্থানে তাঁকে আটকে রেখেছিল, সেখান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। তবে তাঁর বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। গোটা ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাটের ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের মালঞ্চা সংসদে।
এদিকে বিপ্লব মাহাতো এদিন ফিরে এসে জানান, রাতে দুষ্কৃতীরা তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় জায়গাটি যে কোথায় তিনি বুঝতে পারেননি। তবে ভোরের দিকে দুষ্কৃতীদের সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তিনি পালিয়ে আসেন। পরে জানতে পারেন জেলার গঙ্গারামপুরের কোনও এক জায়গায় তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। যদিও বিপ্লব মাহাতো বর্ণিত অপহরণের ঘটনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। ওই প্রার্থীর বক্তব্যের মধ্যে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই অপহরণ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকারের অভিযোগ, মঙ্গলবার জেলার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। দলের নির্বাচিত প্রার্থীরা যাতে সংসদে বোর্ড গঠনে অংশ নিতে না পারে তাই এসব করছে তৃণমূল। প্রার্থীদের অপহরণ করে ভয় দেখিয়ে দলে টানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিজেপির অভিযোগ উড়িয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিপ্লব মিত্র। তিনি বলেন, ‘এসব মিথ্যে অভিযোগ। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নন। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে শুধুমাত্র সহানুভূতি কুড়োনোর উদ্দেশ্যে এসব করছে বিজেপি।’ উল্লেখ্য, এদিনই বালুরঘাট মহকুমার অধীনে চারটি ব্লকের ৩৪ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। এই বোর্ড গঠনকে ঘিরে কোনওরকম অশান্তি এড়াতে ডাঙ্গাপাড়া পঞ্চায়েতে এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.