সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ঘরছাড়া দলীয় কর্মীদের ঘরে ফেরাতে গিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় দুষ্কৃতীদের বাধায় মাঝপথেই ফিরতে হল বিজেপি নেতৃত্বকে৷ ‘চক্রান্ত’ করে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর দাবি, ই-মেল করে পুলিশ ও প্রশাসনকে কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু নিরাপত্তা দেওয়া তো দূরের কথা, ১৪৪ ধারার নাম করে বিজেপি নেতা-কর্মীদের গন্তব্যে যেতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও এলাকায় কীভাবে বাইকবাহিনী দাপিয়ে বেড়াল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়৷
বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশের বাধা অতিক্রম করে গেলে আমাদের উপর আক্রমণ নেমে আসতে পারত। আমরা অশান্তি চাই না বলে ফিরে এসেছি। তবে, পুলিশকে চারদিন সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আমরা গিয়ে যাতে আউশগ্রামের আমাদের ঘরছাড়া নেতা বিকাশ ভক্তকে বাড়ি ফেরাতে পারি তার ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে পুলিশকেই গ্রামে ফেরাতে হবে বিকাশকে। তা না করলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাব।” যদিও বিজেপির তোলা সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ৷ পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) প্রিয়ব্রত রায় বলেন, “বিজেপির কর্মসূচির বিষয়ে কোনও অনুমতিই নেওয়া হয়নি৷ তাই নিরাপত্তা নিয়ে কোনও মন্তব্যই আমরা করব না।” আউশগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার বলেন, “বিজেপির ওই নেতা কেন কেন গ্রামছাড়া বা কতদিন গ্রামছাড়া কিছুই জানি না৷’’
[প্রেমের টানে কানাডার তরুণী কালনায়, টিনের ঘরে বিদেশি বউ দেখতে ভিড়]
বর্ধমান জেলা কার্যালয়ে দলের সভাপতি সন্দীপ নন্দী, জেলা নেতা নবকুমার হাজরা ও ঘরছাড়া নেতা বিকাশ ভক্তকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্দীপবাবু জানান, গত ৯ জানুয়ারি থেকে ঘরছাড়া আউশগ্রামের ওই কর্মী। আগের দিন অর্থাৎ ৮ জানুয়ারি ছোড়া গ্রামে একটি জনসভা হয়। সেদিনও দলের কর্মীদের উপর হামলা করেছিল দুষ্কৃতীরা৷ আতঙ্কে ঘরছাড়া বেশ কয়েকজন। পরে বাকিরা ঘরে ফিরলেও বিকাশবাবু ফিরতে পারেননি। ঘরছাড়া অবস্থাতেই গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই এলাকার জেলা পরিষদের ৫২ নম্বর আসন থেকে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন। বিকাশবাবু জানান, মাঝে একবার তিনি বাড়ি গিয়েছিলেন। কিন্তু দুষ্কৃতীদের হুমকিতে পরদিন সকালেই ঘরছাড়া হতে হয় তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.