ফাইল ছবি।
জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: বিজেপি (BJP) কর্মী রাজেন্দ্র সাহা ওরফে সোমুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সরব গেরুয়া শিবির। রবিবার সকালে ধৃত কর্মীর মুক্তির দাবিতে বসিরহাটের এসপি অফিস ঘেরাও করে গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। নেতৃত্বে ছিলেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় (Raju Banerjee)। প্রতিবাদ কর্মসূচির জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থল থেকেই কয়েকজনকে আটক করেছে বসিরহাট (Basirhat) থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে গোপালনগরের নহাটা মোড় এলাকা থেকে চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে বিজেপি কর্মী রাজেন্দ্র সাহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই গ্রেপ্তারির পিছনে আসল কারণ হাড়োয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদ, এমনই অভিযোগ তুলে রবিবার রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বসিরহাটের এসপি অফিস ঘেরাও করে বিজেপির নেতা কর্মীরা। তাঁদের কথায়, হাড়োয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রথম থেকে সরব হয়েছিল রাজেন্দ্র ওরফে সৌম্য। দলের তরফেও ঘটনার প্রতিবাদে সুর চড়ানো হয়েছিল। সেই কারণেই শাসকদলের নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হয় ওই বিজেপি কর্মীকে। রবিবার এসপি অফিসের সামনে থেকে ধৃতের মুক্তির দাবিতে সুর চড়ান রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। বিক্ষোভ তুলতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার গভীর রাতে হাড়োয়ার মুন্সিঘেরির ছয়ানি বাজারে বোমাবাজি করে একদল দুষ্কৃতী। বোমাবাজির পর এলাকার বেশ কিছু মানুষ ভয় পেয়ে অন্যত্র পালিয়ে যান। নিখোঁজ হয়ে যান ওই এক ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী গভীর রাতে স্বামীকে খুঁজতে বাইরে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সুযোগে মন্টু কাহার, জগবন্ধু দাস ওরফে কেলো, শুকদেব দাস-সহ বেশ কয়েকজন গৃহবধূকে মেছো ভেড়িতে তুলে নিয়ে যায়। আলা ঘরের মধ্যে হাত ও মুখ বেঁধে তারা গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ। এরপর আলা ঘরের পাশে বাঁধের উপর নির্যাতিতাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়েছিল হাড়োয়া। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। সেই কারণেই সৌম্যকে গ্রেপ্তার বলেই দাবি নেতাদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.