ছবি: প্রতীকী
স্টাফ রিপোর্টার : দলীয় বৈঠক ডাকলে টেনেটুনে অর্ধেক লোক আসে। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনশলের (Sunil Bansal) সামনেই সংগঠনের এই দুরবস্থার কথা স্বীকার করলেন জেলা নেতারা। মঙ্গলবার হাওড়ায় বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠক ছিল বিজেপির। হাওড়া (Howrah) সদর-গ্রামীণ ও শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও নেতৃত্ব ছিলেন। হাজির ছিলেন সুনীল বনশল, সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিত মালব্য ছাড়াও জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, সঞ্জয় সিং, অনুপম মল্লিক, উমেশ রাই প্রমুখ।
একুশের ভোটের পর কোন্দল ও ক্ষোভ-বিক্ষোভ অব্যাহত বিজেপির অন্দরে। সভা-সমাবেশে সেভাবে লোক হচ্ছে না। জেলা ও মণ্ডলস্তরে সাংগঠনিক বৈঠকেও কর্মীদের সেভাবে দেখা মিলছে না। পঞ্চায়েতের আগে সংগঠনের এই অবস্থা ভাবাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। বৈঠকে জেলা নেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনেই স্বীকার করেন, বৈঠক ডাকলে খুব বেশি হলে ৬০ শতাংশ লোক আসছে। শুনে বনশলের প্রশ্ন, কেন বাকিরা আসছেন না? ঠিকমতো তাঁদের খবর দেন না তাহলে? সবাইকে নিয়ে চলার পথে খামতি থাকছে নেতৃত্বের, এটা স্পষ্ট করে দিয়ে বৈঠকে জেলা নেতাদের উদ্দেশে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘নতুন যিনি জেলা সভাপতি হচ্ছেন তিনি তাঁর পছন্দ মতো টিম করে নেন। সবাইকে জায়গা দেন না। এসব চলবে না।’’
বনশল বুঝিয়ে দেন, দলে পছন্দের লোক রাখতে গিয়ে অনেক যোগ্যদের বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিন জেলা নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভে সরব হন। পুরনোদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। পছন্দের লোককে পদে বসানো হচ্ছে বলে একাধিক নেতা জেলা ও রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পঞ্চায়েতে ঠিকমতো লড়াইয়ের পরামর্শ দেন।
বিজেপির এই শীর্ষনেতার কথায়, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে শুধু রাজনৈতিক লাভের কথা ভাবলে হবে না। সাংগঠনিক সাফল্যের কথা চিন্তা করতে হবে। মহিলা, ওবিসি—সহ নানা ক্ষেত্র থেকে যাঁরা প্রার্থী হবেন তাঁদেরকে পরবর্তী ক্ষেত্রে সংগঠনের কাজে আনতে হবে। এরই মধ্যে শুক্রবার হুগলিতে রাজ্য বিজেপির বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠকে বি এল সন্তোষের আসার কথা। সাংগঠনিক বদল নিয়েও সিদ্ধান্ত হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.