রাজা দাস, বালুরঘাট: এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব দান পঞ্চায়েত প্রধানের। এই অভিযোগে তৃণমূল জেলা সভাপতি এবং ব্লকস্তরের এক নেতার বিরুদ্ধে দক্ষিণ দিনাজপুর প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে করে হুমকির মুখে স্থানীয় বিজেপি নেতা। বালুরঘাট টাউনে বিজেপির এসসি মোর্চা সভাপতি সুমন বর্মনের অভিযোগ, নিজের অধিকারের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশের কয়েকজনকে নাগরিকত্ব প্রদান করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। সেই অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে শাসকদলের পক্ষ থেকে। তিনি প্রাণহানির আশঙ্কায় ভুগছেন বলে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
জানা গেছে, বালুরঘাট ব্লকে তৃণমূল পরিচালিত ভাটপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান জয়ন্তী পাহান সম্প্রতি এলাকার বহু বাসিন্দাকে অধিকার বহির্ভূতভাবে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র ইস্যু করেছেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ভাটপাড়া অঞ্চলের অধিকাংশ বাংলাদেশি শংসাপত্র পেয়েছেন। তথ্যের অধিকার আইনে নাগরিকত্ব পাওয়া অন্তত ২৭ জনের নাম জানতে পারেন বিজেপি নেতা সুমন বর্মন। এরপরই তিনি অভিযোগ তোলেন, কোনও নথি ছাড়াই পঞ্চায়েত থেকে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, কীভাবে একজন প়ঞ্চায়েত প্রধান নাগরিকত্ব সংক্রান্ত শংসাপত্র দিতে পারেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন সুমন বর্মন। গত সোমবার জেলা প্রশাসনের কাছে এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ করে তদন্তের দাবি জানান বিজেপি এসসির বালুরঘাট টাউনের মোর্চা সভাপতি।তাঁর আরও অভিযোগ, ২০১৫ সাল থেকে পঞ্চায়েত সচিব হিসেবে যিনি দায়িত্বে রয়েছেন, তিনিও কোনও অনৈতিক কাজে বাধা দেননি। এরপর প্রধানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কাছে দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য সুমনকে চাপ দেওয়া হয় বলে তাঁর অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের দিকে।
[বন্ধ মদের দোকান খুলতে গিয়ে মহিলাদের তাড়া খেলেন কাউন্সিলর]
জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, বুধবার রাতে মঙ্গলপুর এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার সময় ৭টি বাইকে চড়ে ২০ থেকে ২১ জন যুবক সুমনের পথ আটকায়। বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান জয়ন্তী পাহানের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহারের হুমকি দেওয়া হয়। অন্যথায় বিজেপি নেতাকে অভিযোগ না তুললে তাঁকে খুনের হুমকিও দেয়। তবে হামলাকারীদের কাউকে চিনতে পারেননি বলে পুলিশকে জানিয়েছেন সুমন।জেলা প্রশাসনের কাছে বিজেপি নেতার দায়ের করা অভিযোগের শুরুতেই নাম রয়েছে জেলা তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র এবং বালুরঘাটের তৃণমূল নেতা প্রবীর রায়ের। এনিয়ে শোরগোল শুরু হতেই শংসাপত্র বিলির বিষয়টি স্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান জয়ন্তী পাহান। তবে তাঁর সাফাই, না জেনে ভুলবশত কিছু মানুষকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। সেসব বাতিল করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.