রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। তার আগে নন্দীগ্রাম নিয়ে চূড়ান্ত মাথাব্যথা শাসক-বিরোধী উভয়েরই। নন্দীগ্রাম দিবস নিয়ে এবার যেন উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার পারদ একটু বেশি। এই প্রেক্ষাপটেই বুধবার রাত ১২টা বাজার পরই শহিদদের সম্মান জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। নাম না করে নিশানা করলেন ঘাসফুল শিবিরকে।
গত ২৭ নভেম্বর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সকলের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলেন, “৭ জানুয়ারি সূর্য ওঠার আগে বন্ধুরা আসবেন তো?” সত্যি সূর্য ওঠার অনেক আগে নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়ায় পৌঁছলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু। বুধবার রাত ১২টা বাজার পরেই শেখ সেলিম, ভরত মণ্ডল-সহ তিন শহিদকে সম্মান জানান। ২০০৭ সালের ৮ জানুয়ারির স্মৃতি রোমন্থন করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “২০০৭ সালের ৮ জানুয়ারি নিজে হাতে শেখ সেলিমের দেহ তুলেছিলাম। সে যন্ত্রণার কথা আজও মনে পড়ে। শহিদদের সম্মান জানাতে আমি কয়েকটা দিন পালন করি। তাই নন্দীগ্রামে শহিদদের সম্মান জানাতে প্রতি বছর আমি আসি। ধর্ম, বর্ণ, দল, মতের ঊর্ধ্বে এই কর্মসূচি।”
তারপরই তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। তিনি দাবি করেন, শহিদ বেদির প্রাঙ্গণে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে অনেকেই হুমকি দিয়েছিলেন। তা কখনও সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। তাঁর মতে, “রক্তচক্ষু দেখিয়ে আমাদের আটকানো যাবে না।” বৃহস্পতিবার নেতাই গণহত্যারও বর্ষপূর্তি। এদিন সেখানেও কর্মসূচি রয়েছে শুভেন্দুর। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের শহিদদের সম্মান জানানোর পর সেকথা সকলকে জানান তিনি।
এদিকে, নন্দীগ্রামে (Nandigram) বৃহস্পতিবার তৃণমূলের তরফে সুব্রত বক্সির সভা করার কথা। সে প্রসঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শুভেন্দু। তাঁর কটাক্ষ, “আগে অনেকেই আসত না এসব দিনে। এবার আসছে। কারণ ভোট এসে গিয়েছে। কী উদ্দেশে আসছেন তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।” দলবদল করেছেন শুভেন্দু। আর তারপর থেকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট একেবারে বদলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মধ্যরাতে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.