Advertisement
Advertisement
Madan Mitra

‘প্রথম মদ খেয়েছি শুভেন্দুর বাবার সঙ্গেই’, ‘পরিচিত মাতাল’ কটাক্ষের পালটা দিলেন মদন

মদনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন দিলীপ ঘোষও।

BJP leader Suvendu Adhikari and TMC MLA Madan Mitra mocks each other | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 30, 2021 9:36 am
  • Updated:December 30, 2021 1:29 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: মদন মিত্রর (Madan Mitra) সঙ্গে বিজেপির নেতৃত্বের তরজা অব্যাহত। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ককে প্রকাশ্যেই ‘পরিচিত মাতাল’ বলে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার তার পালটা দিলেন মদনও। প্রকাশ্যেই বললেন, তাঁর মদ্যপানের শুরুটাই হয়েছিল শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীর হাত ধরে।

এদিকে মদনকে একই সুরে বুধবার আক্রমণ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh)। তিনি আবার ‘কমেডিয়ান’ আখ্যা দিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, “উনি সকালে একরকম বলেন, সন্ধ্যায় অন্যরকম। আর রাত বাড়লে আরও অন্যরকম।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে আজীবন জেল, রায় শুনেই বিচারককে জুতো ছুঁড়ে মারল দোষী]

মঙ্গলবার রাতে খড়্গপুরের একটি অনুষ্ঠানে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নাম না করে মদন চ্যালেঞ্জ ছোড়েন, কামারহাটি থেকে পদত্যাগ করে ২৯৪টি আসনের যে কোনও জায়গায় তিনি লড়বেন, যদি বিপক্ষে দাঁড়ান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিন বিকেলে বিধানসভার বাইরে এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “একটা চিহ্নিত মাতালের কথার উত্তর দেওয়া খুব মুশকিল। ও পরিচিত মাতাল। পশ্চিমবঙ্গের লোক জানে।”

মদনের পালটা দিতে অবশ্য দেরি হয়নি। রাতে তিনি দেগঙ্গায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে শুভেন্দুর ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, “জীবনে প্রথম মদ খেয়েছিলাম শুভেন্দুর বাবার সঙ্গেই। কী যেন একটা ব্র্যান্ড খাইয়েছিলেন। আমরা যাচ্ছিলাম কেশপুরের দিকে। কী একটা নাম বললেন যেন, শিবাস…ফিবাস হবে। শিশিরদা কী একটা মিশিয়ে দিয়ে বললেন, খাও। আমি তো খেয়ে প্রায় বমি করে দিয়েছিলাম।’’

[আরও পড়ুন: শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে আজীবন জেল, রায় শুনেই বিচারককে জুতো ছুঁড়ে মারল দোষী]

উল্লেখ্য, কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী প্রথম জীবনে কংগ্রেস করলেও, ২০০০ সালে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। শুভেন্দুর দলবদলের পর তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে শিশিরবাবুর। গত ১ মার্চ এগরায় অমিত শাহ জনসভা করতে এলে তাঁর সভায় গিয়ে ভাষণও দেন। অশীতিপর শিশির এখন বাড়ি থেকে বারও হন না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement