ছবি: প্রতীকী
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: ফের প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে খুন করা হল বিজেপি নেতাকে। ভরসন্ধেয় উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে থানার সামনেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারান মণীশ শুক্লা। তাঁর উপর মোট চার রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলেই জানা গিয়েছে। বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) ঘনিষ্ঠ এই মনীশ শুক্লা।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধেয় মনীশ শুক্লার উপর গুলি চালিয়েই সেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা। মাথায় ও বুকে গুলি লাগে তাঁর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে বারাকপুরের একটি হাসপাতাল, সেখান থেকে তাঁকে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার কয়েক ঘণ্টা পরই জীবনযুদ্ধে হার মানেন। এদিকে ঘটনায় উত্তাল টিটাগড়। রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বিটি রোড। রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। মণীশ শুক্লাকে খুনের ঘটনায় আগামিকাল সোমবার ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি।
গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অভিযোগ, তৃণমূলই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। ঘনিষ্ঠ নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরই সাংসদ অর্জুন সিং তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। কিন্তু এমন ঘটনার সঙ্গে শাসকদলের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তৃণমূল এর সঙ্গে জড়িত নয়। তৃণমূল সরকার সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। তবে গোটা ঘটনা থানার সামনেই ঘটায় নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ।
মনীশ টিটাগরের প্রাক্তন কাউন্সিলর ছিলেন। বর্তমানে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য। বাম আমলে বারাকপুরের বাম সাংসদ তড়িৎ বরণ তপদারের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের পর দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। সে সময় বারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্তর অনুগামী হয়ে যান। তৃণমূলে থাকাকালীন টিটাগরের কাউন্সিলরও হয়েছিলেন। তবে লোকসভা নির্বাচনের সময় অর্জুন সিংহের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.