অরূপ বসাক, মালবাজার: বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে রদবদল হয়েছে সদ্যই। আর তা নিয়েই ক্ষুব্ধ রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)। ৪০ বছর দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার পরেও কিছু পাননি বলেই দাবি তাঁর। এই পরিস্থিতিতে রাহুল সিনহাকে নিয়েই চলছে জোর আলোচনা। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুকুল রায়। তাঁকে ‘বাংলার মুখ’ বলে দাবি করেছেন তিনি। এবার একই সুর শোনা গেল সায়ন্তন বসুর গলাতেও। রাহুল সিনহার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে বলেই দাবি করলেন তিনি।
সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu) বলেন, “রাহুল সিনহা বিজেপিতে দলের মুখ। ছোটবেলা থেকেই রাহুলদাকে দেখে এসেছি। রাহুলদা নেতা ছিলেন। আছেন এবং থাকবেন। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), মুকুল রায়ের (Mukul Roy) মতো রাহুলদাও দলের মুখ।” তিনি আরও বলেন, “বিজেপিতে তাজা রক্তের প্রয়োজন আছে। আগে অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে দলে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কখনও মুরলী মনোহর যোশী, নীতীন গডকড়িরা নেতৃত্বে এসেছেন। এখন জেপি নাড্ডা আছেন। রাহুলদার পদ গেল কি গেল না তাতে কিছু আসে যায় না। তাতে রাহুলদার গুরুত্বের অভাব হয়নি। একটা দল হিসেবে সকলে কাজ করছি। বাংলার মুখ রাহুলদাই।” রবিবার মালবাজার মহকুমার লাটাগুড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাহুল সিনহা প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক।
এদিন মুকুল রায় এবং সায়ন্তন বসুর গলাতে একই সুর শোনা গিয়েছে ঠিকই। তবে বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার (Anupam Hazra) গলায় অন্য সুর। তিনি বলেন, “রাহুলদার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল। আমি পদ দেওয়ার মালিক নই। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি গণতান্ত্রিকভাবে আলোচনা করে পদ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে রাহুলদা একটু মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যে একটা চায়ের আড্ডা জমলে পুরো ব্যাপার সামনে আসবে। রাহুলদার সঙ্গে কলকাতাতে আসলেই দেখা হয়, যদি কোনও চায়ের আড্ডা হয় তবে বসব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.