সৈকত মাইতি, তমলুক: দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ফের পুলিশি বাধার মুখে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। কোলাঘাটে কেটিপিপি রোডে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ বেআইনিভাবে এসব কাজ করছে বলেই অভিযোগ তাঁর। হাজার চেষ্টা করেও দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেননি তিনি। তাই বাধ্য হয়ে কলকাতায় ফিরে যান গেরুয়া শিবিরের নেতা।
দলীয় কর্মীদের হেনস্তা করা হচ্ছে, আমফানের (Amphan) ত্রাণ নিয়ে চলছে দুর্নীতি এমনই একগুচ্ছ অভিযোগে কাঁথিতে পুলিশের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কথা ছিল বিজেপির। ওই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য কলকাতা থেকে কাঁথির উদ্দেশে রওনা দেন সায়ন্তন বসু। অভিযোগ, কোলাঘাটের কেটিপিপি রোডের সামনে পৌঁছনো মাত্রই তাঁর গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। তমলুক মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী বিজেপি নেতার গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা। এরপর সেখানেই ঘণ্টাদুয়েক অবস্থান বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতারা।
করোনার কারণেই জমায়েতে পুলিশ রাজি নয় বলেই জানায় বিজেপি নেতাকে। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ সায়ন্তন বসু। বিজেপি নেতা বলেন, “আমরা মাত্র ৪ জন ছিলাম। পুলিশ ছিলেন অনেক বেশি। তাঁরা করোনা ছড়াবেন না। করোনা কী শুধু আমরা ছড়াচ্ছি। কেন পূর্ব মেদিনীপুরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না আমাদের? এখানে ঢোকার জন্য কী ভিসা লাগবে নাকি পাসপোর্ট?” পুলিশের সঙ্গে বচসার পরেও বিজেপি নেতাকে কাঁথিতে যেতে দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে কলকাতায় ফিরে যান তিনি।
শুধু কোলাঘাটই নয়। এর আগেও একাধিকবার দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে কখনও উত্তরবঙ্গ আবার কখনও বা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বাধার মুখে পড়েন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। প্রতি ক্ষেত্রেই যদিও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি নেতা। তবে পুলিশকে আক্রমণ করতে গিয়ে দিনকয়েক আগে বিতর্কেও জড়ান সায়ন্তন। থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। এমন বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কেও জড়ান বিজেপি নেতা। বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও রুজু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.