সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ে না। বারবার বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। এবারও সেই এক কাজই করে বসলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যরা তৃণমূল নেতাদের জামাকাপড় কাচেন বলে বিতর্কে জড়ালেন গেরুয়া শিবিরের সৈনিক। তাঁর এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ শিক্ষামহল। সায়ন্তনের বিতর্কিত মন্তব্যের পালটা জবাব দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
বাজার উচ্ছেদের প্রতিবাদে শনিবার শেওড়াফুলি ফাঁড়ির সামনে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। সেখানেই রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন তিনি। বিজেপি নেতা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধিকাংশ উপাচার্য (Vice Chancellor) তৃণমূল নেতাদের গৃহভৃত্যের কাজ করেন। তাঁদের কাজ তৃণমূল নেতাদের জামাকাপড় কেচে দেওয়া। সে কারণেই উপাচার্য হয়েছেন।” তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই চলছে জোর শোরগোল। ক্ষুব্ধ শিক্ষামহল। বিজেপি নেতার এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি। সায়ন্তন বসুর কথা কিছুটা হলেও অশিক্ষিতের মতো লাগছে বলে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। গণতন্ত্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানই ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে রাজনৈতিক নেতামন্ত্রীদের সে বিষয়ে ভাবা উচিত বলেই মত শিক্ষাবিদের।
রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, একাধিকবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) উপাচার্য সাক্ষাতের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে কোনও উপাচার্যই তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি। সেই প্রসঙ্গেই বিজেপি নেতা এমন মন্তব্য করছেন বলেই মনে করছেন অনেকে। যদিও সায়ন্তনকে পালটা জবাব দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তিনি বলেন, “ভৃত্য করে রাখে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন খোলা আকাশে, খোলা বাতাসে বাঁচার কথা। বাংলায় খোলা আকাশে, খোলা বাতাসে আমরা বাঁচতে ভালবাসি। আমরাও বাঁচি। উপাচার্যরাও বাঁচেন। গুজরাটে মানুষ ভয়ে বাঁচে। সকলে ভাবেন এই দাঙ্গা হয়ে কয়েক হাজার মানুষ মরে যাবে। মধ্যপ্রদেশে ভুয়ো এনকাউন্টারে মেরে দেবে। মোদি, অমিত শাহের দালাল হিসাবে ওরা এখানে এসেছে। বাংলার মানুষ মাথা তুলে বাঁচে, বাঁচবে। বাংলার উপাচার্যদের একটা আলাদা স্তর আছে। যারা দাঙ্গাবাজ দলের সঙ্গে থাকে তাদের তা বোঝার ক্ষমতা নেই। ঠিক যেমন সায়ন্তনের নেই।” তবে সায়ন্তনের বিতর্কিত মন্তব্য ইস্যুতে এখনও গেরুয়া শিবিরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.