নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলেছি, নির্বাচনের দিন কেউ দখল করতে এলে, যেন বুক লক্ষ্য করে গুলি চলে।’ ভোটের প্রচারে বেলাগাম বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে।
বসিরহাটে লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে দলের তরুণ নেতা সায়ন্তন বসুকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, ‘বহিরাগত’ প্রার্থী নিয়ে ক্ষুদ্ধ দলের স্থানীয় কর্মীদের একাংশ। দিন কয়েক আগে বসিরহাটের বিভিন্ন জায়গায় সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়েছিল। পোস্টারে লেখা ছিল, ‘সায়ন্তন বসুকে চাই না। স্থানীয় নেতাকেই প্রার্থী করতে হবে।’ পোস্টারের নিচে লেখা ছিল, ‘বসিরহাট লোকসভা বিজেপি কর্মিবৃন্দ।’ ঘটনাটি প্রকাশ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল বসিরহাটে। ঘটনাটি তৃণমূলের কারসাজি বলে উড়িয়ে দেন বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু।
প্রার্থী ঘোষণা পর, রবিবার বসিরহাটে এসেছিলেন সায়ন্তন বসু। তবে সেদিন প্রচার করেননি তিনি, দলের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে ফিরে যান। মঙ্গলবার সংগ্রামপুর এলাকার একটি কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু। এদিন দলের প্রার্থীর সমর্থনে বসিরহাটের ভ্যাবলা হাইস্কুলের মাঠে একটি জনসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। জনসভায় হাজির ছিলেন রাজ্যস্তরের নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গণেশ মণ্ডল-সহ বিজেপির নেতারা। জনসভায় বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু বলেন, ‘পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। নিশ্চিত থাকুন, ভোটের দিন পুলিশকে থানায়ই আটকে রাখব। বিজেপি কর্মীদের বলছি, মার খেয়ে প্যানপ্যান করবেন না, পালটা মার দিয়ে, তারপর ফোন করবেন।’ এমনকী, দলের মহিলা কর্মীদের প্রতিও তাঁর পরামর্শ, বঁটিতে ধার দিয়ে রাখুন৷ প্রয়োজনে কাজে লাগবে৷ বিজেপি প্রার্থীর এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, হিংসায় ইন্ধন দিচ্ছে বিজেপি৷
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.