রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও রঞ্জন মহাপাত্র: ফের পুলিশি বাধার মুখে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের রাতুলিয়ায় আটকে দেওয়া হয় তাঁকে। আইনশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে তাঁকে আটকে দেওয়া হয় বলেই দাবি পুলিশের। যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপি নেতা। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিজেপি নেতার পালটা দাবি, নিহত দলীয় কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না বলেই পুলিশ আটকে দিয়েছে তাঁকে।
গত বুধবার সকালে ঘটনার সূত্রপাত। রামনগর ২ নম্বর পূর্ব মণ্ডলের হলদিয়া ২ অঞ্চলের ৪১ নম্বর অর্জুনি বুথের সভাপতি পূর্ণচন্দ্র দাসকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। সেদিন বিকেলেই পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থানা এলাকায় একটি পানের বরোজের পাশ থেকে বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রামনগর থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন মৃতের পরিজনেরা। তাঁদের দাবি, ওই ব্যক্তিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই উত্তপ্ত গোটা এলাকা। এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় রামনগর ১ নম্বর ব্লকের হলদিয়া ২ অঞ্চলের অর্জুনি বুথের বিজেপি বুথ সভাপতির মৃত্যুতে ‘শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি’ নিবেদন করে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
শুক্রবার নিহতের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল সায়ন্তন বসুর। সে কারণেই সড়কপথে নিহত পূর্ণচন্দ্র দাসের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। পূর্ব মেদিনীপুরের রাতুলিয়ার কাছে গাড়ি আটকানো হয় তাঁর। পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয় বিজেপি নেতার।
দেখুন ভিডিও:
অকারণে তাঁকে হেনস্তা করা হয়েছে বলেই অভিযোগ সায়ন্তন বসুর। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে যাচ্ছেন বলেই বাধা দেওয়া হয়েছে তাঁকে, অভিযোগ বিজেপি নেতার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.