দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: শ্রীরামপুরে দলীয় কর্মীদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে রীতিমতো অশালীন ভাষা প্রয়োগ করলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু। এদিন সায়ন্তন শালীনতার গণ্ডি ছাড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে নাম না করে হিজরেদের সঙ্গে তুলনা করে আক্রমণ শানালেন। এদিন তিনি কাউন্সিলরদের কটাক্ষ করে বলেন, পৌর উন্নয়ন রাস্তাঘাটে দেখা যায় না, পৌর উন্নয়ন দেখতে গেলে তৃণমূল কাউন্সিলরদের ঘরে যেতে হবে।
এদিন তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘পাশের বাড়িতে ছেলে হলে কারা নাচতে যায় জানেন, তাদের কী বলে জানেন? পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের এখন সেই অবস্থা।’ তবে এই ধরনের মন্তব্যে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক যে একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে অপমান করেছেন এ নিয়ে এলাকার মানুষও ক্ষুব্ধ। এদিন তিনি বলেন আগামী পৌর নির্বাচনে বেঙ্গালুরু, ম্যাঙ্গালুরু, মহারাষ্ট্র, পানাজিতে যে পুরসভাগুলি বিজেপির দখলে সেগুলির উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরবেন। তিনি এও বলেন, সঠিকভাবে নির্বাচন হলে তৃণমূল প্রার্থী দিতে পারবে না, বিজেপি সেক্ষেত্রে বেশির ভাগ পুরসভা দখল করবে।
অশান্ত দিল্লি প্রসঙ্গে সায়ন্তন বসু বলেন, ‘যখন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি আমাদের দেশে রয়েছেন ভারতের ইমেজকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এই ধরনের হিংসা তৈরি করা হয়েছে। যারা সিএএ, এনআরসি-র বিরোধী কথা বলছেন, যারা শাহিনবাগে অবস্থান করছেন, যারা জাফরাবাদে বিক্ষোভ করছিলেন তারাই প্রত্যক্ষভাবে এই হিংসার জন্য দায়ী। বিদেশের পয়সায় এই হিংসা ঘটানো হয়েছে ভারতের ইমেজকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য।’ তিনি বলেন, ‘ভারত সরকার এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। যারা বোরখা পড়ে সকাল বিকেল নরেন্দ্র মোদি ও ভারত সরকারের বিরুদ্ধে উত্তেজনামূলক, উসকানিমূলক স্লোগান দিচ্ছে তারা এই হিংসার জন্য দায়ী।’
উলটোদিকে হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব সায়ন্তন বসুকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘দলে কিছু ভদ্রলোক থাকেন যাদের দলে কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু তারা গুঁতিয়ে দলে থেকে যায়। তাই এই সমস্ত লোককে তো কিছু কাজ দিতে হবে তাই দলের থেকে ওনাকে ট্রেনের টিকিট কেটে দেওয়া হয়েছে হুগলিতে রোজ যাতায়াত করার জন্য।’ দিলীপবাবু নাম না করে বলেন, ‘উনি আগে ভাল করে রাজনীতিটা করা শিখুন, ভাল করে কথা বলা শিখুন।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.