নন্দন দত্ত, সিউড়ি: পুলিশের লকআপে নাবালকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বীরভূমের মল্লারপুরে বন্ধ ঘিরে অশান্তি। থানায় ঢুকতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ধস্তাধস্তিও হয়। মল্লারপুর থানার ওসির গ্রেপ্তারির দাবি জানান সৌমিত্র। যদিও তৃণমূল বিজেপির বিক্ষোভে চরম সমালোচনা করেছে। তাদের দাবি, আত্মহত্যাকে খুন বলে দাবি করে সস্তার রাজনীতি করছে বিজেপি।
উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। এদিন চুরির অভিযোগে মল্লারপুরের বারুইপাড়ার বাসিন্দা শুভ মেহেনা নামে এক নাবালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। গভীর রাতে মৃত্যু হয় শুভর। এরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, লকআপে অমানসিক অত্যাচারের কারণেই মৃত্যু হয়েছে শুভর। পুলিশই খুন করেছে তাঁদের পরিবারের সদস্যকে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। পরে যদিও নিজেদের বয়ান বদল করেন ওই নাবালকের বাবা-মা। আত্মহত্যা বলেই দাবি করেন তাঁরা। বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই দাবি মল্লারপুর থানার পুলিশের। তাঁদের কথায়, “লকআপে থাকাকালীন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন শুভ। পুলিশ কর্মীরা তাঁকে কোনওরকম নিগ্রহ করেনি।”
এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার মল্লারপুরে বন্ধ ডাকে বিজেপি (BJP)। নাবালকের মৃত্যুর প্রতিবাদে মল্লারপুর বাজার থেকে থানা পর্যন্ত মিছিল করে গেরুয়া শিবির। তাতে নেতৃত্ব দেন সৌমিত্র খাঁ। মিছিল শেষে থানায় ঢুকতে যান বিজেপি নেতা। তবে আগে থেকে ব্যারিকেড দেওয়া ছিল। সেই ব্যারিকেড সরানোর চেষ্টা করলে পুলিশ ও বিজেপি ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সৌমিত্র খাঁ ওসির শাস্তি দাবি করেন। সুবিচারের আশায় রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান তিনি। যদিও তৃণমূল বিজেপির এই আন্দোলনকে মোটেও ভাল চোখে দেখছে না। আত্মহত্যাকে খুন করে প্রমাণ করে সস্তার রাজনীতি করছে বলেই অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.